• ঢাকা রবিবার
    ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১

ধোবাউড়ায় স্কুলগুলোতে নেই লাইব্রেরি, অফিসকক্ষ ও আলমারিতে তালাবদ্ধ বই

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২২, ০৬:৫৯ পিএম

ধোবাউড়ায় স্কুলগুলোতে নেই লাইব্রেরি, অফিসকক্ষ ও আলমারিতে তালাবদ্ধ বই

ধোবাউড়া প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় উচ্চ বিদ্যালয়গুলোতে নেই লাইব্রেরি। অধিকাংশ স্কুলেই আলমারিতে তালাবদ্ধ অবস্থায় কিছু বই রয়েছে। কোনো স্কুলের অফিস কক্ষে বুক সেল্পে রাখা হয়েছে বই। নামেমাত্র এসব লাইব্রেরি থাকলেও কোনো কার্যক্রম নেই। লাইব্রেরিয়ানরা স্কুলে পাঠদান করেন।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, দু,একটি স্কুলে লাইব্রেরি আছে কিন্তু সেখানে কোনো শিক্ষার্থী যায় না। দীর্ঘদিন তালাবদ্ধ থাকায় ময়লা আবর্জনা পোকা-মাকড়ের বসতি হয়েছে। প্রায় সবগুলো স্কুলেই লাইব্রেরিয়ান আছে কিন্তু লাইব্রেরি নেই। লাইব্রেরিয়ানের কোনো কাজ না থাকায় স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন। লাইব্রেরি না থাকায় শিক্ষার্থীরা বাড়তি কোনো জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাচ্ছে না।

কাগজে কলমে এ সব লাইব্রেরি থাকলেও বাস্তবে ভিন্ন চিত্র। ধোবাউড়া মডেল সরকারি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, লাইব্রেরি রয়েছে তবে তালাবদ্ধ। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘জনবল না থাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করা যাচ্ছে না।’

ঘোঁষগাও শেরেবাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, অফিস কক্ষে একটি বুক সেল্পে কিছু বই রাখা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষ সংকটে লাইব্রেরির কার্যক্রম পরিচালনা করা যাচ্চে না। বালিগাঁও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, আলমারিতে বই তালাবদ্ধ অবস্থায় রাখা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক আ. কুদ্দুস জানান, ‘শ্রেণিকক্ষ সংকটে কার্যক্রম পরিচালনা করা যাচ্ছে না।’

এ ব্যাপারে লেখক গবেষক আ. খালেক পাঠান বলেন, ‘স্কুলগুলোতে লাইব্রেরি থাকলেও শিক্ষার্থীদের মেধা মননশীল বিকাশে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম আযম বলেন, ‘শিক্ষকদের নিয়ে মিটিং করে লাইব্রেরিগুলো সচল করার ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

এএল/এআরআই
আর্কাইভ