জয়পুরহাটে ৪ দিনেই হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন তত

ভারতীয় পণ্য ক্রয় বিক্রয়কে কেন্দ্র করে ভাগবাটোয়ারার টাকা নিয়ে ব্যবসায়ী দুলাল শেখ (৫৫) হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং জড়িত অপর ব্যবসায়ী সুমন চৌধুরী ওরফে সুমনকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের মাত্র ৪ দিনের মাথায় আসামিকে আক্কেলপুর উপজেলার হাস্তাবসন্তপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর জড়িত সুমন চৌধুরী ওরফে সুমন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাত ১১টার পরে জয়পুরহাট জেলা পুলিশ নামে অফিসিয়াল ফেসবুকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত সুমন চৌধুরী ওরফে সুমন নওগাঁ জেলার বদলগাছি থানার চাকরাইল গ্রামের নঈম উদ্দিনের ছেলে। আর নিহত মহসীন আলী (২৬) জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার বেলগাড়িয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

গ্রেফতারকৃত সুমন চৌধুরী ওরফে সুমন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার হাসিমপুর গ্রামে মৃত কছিম উদ্দিন চৌধুরী ওরফে কছিম চৌধুরী ছেলে ও তার সেকেন্ড হোম ওই জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার গোয়ালডির বাসিন্দা এবং বর্তমানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌরসভার তালতলী কাঁচা বাজার রেলকলোনীতে ব্যবসার জন্য থাকেন। 

আর নিহত দুলাল শেখ দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বাংলা হিলির মধ্য বাসুদেবপুর গ্রামের মৃত মোকছেদ আলী শেখ এর ছেলে বলে মামলা সূত্রে জানা গেছে।

গ্রেফতারের পর সুমন চৌধুরী ওরফে সুমন জানায়, জেলার আক্কেলপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় অবস্থান করে ভারতীয় পণ্য চোরাচালানীভাবে ক্রয়-বিক্রয় করতো তারা। গত রবিবার দুলাল শেখকে চা খাওয়ার জন্য ডেকে নিয়ে যায় সুমন চৌধুরী ও অপর একজন আসামী। পরে তারা দুইজন ভিকটিম দুলালের ভাড়া বাসায় যায়। ভিকটিম দুলালের সঙ্গে আসামী দুই জনের চোরাচালানী পণ্য ক্রয় বিক্রয়কে কেন্দ্র করে চোরাচালানী ব্যবসায়ীক লেনদেনের টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। তখন আসামি সুমন উত্তেজিত হয়ে রাগের বশে দুলালের ঘরে পড়ে থাকা একটা বাটাম দিয়ে দুলালের মাথায় দুইবার গুরুতরভাবে আঘাত করে। এতে দুলাল মাটিতে পড়ে যায়। তখন অপর আসামি ভিকটিম দুলালকে বালিশ চাপা দেয়। ভিকটিম দুলাল মারা যাওয়ার পর আসামী দুইজন ঘর থেকে বের হয়ে

যায়। 

যাওয়ার সময় অপর আসামি দুলালের লাশ ঘরে রেখেই তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামিরা ভারতীয় পণ্য ক্রয় বিক্রয়কে কেন্দ্র করে ভাগবাটোয়ারার টাকা নিয়ে এ হত্যাকান্ডটি ঘটায়।

পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সুমন চৌধুরী ওরফে সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামি নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিকমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। অপর আসামি গ্রেফতারের লক্ষ্যে আক্কেলপুর থানা পুলিশ কর্তৃক অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এইচএ