গাইবান্ধা হর্টিকালচার সেন্টার পরিদর্শনে হুইপ গিনি

গাইবান্ধা হর্টিকালচার সেন্টার পরিদর্শন করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি। 

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি।

এ সময় তার সঙ্গে প্রকল্প পরিচালক ড. মেহেদী মাসুদ, গাইবান্ধা হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক ড. মো. সাইখুল আরিফিন, রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহ আলম, গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. বেলাল হোসেন, গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রহমান স্বপন, সাবেক ছাত্রনেতা তাহমিদুর রহমান সিজু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আসিফ সরকারসহ কৃষি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

এ প্রকল্পের আওতায় গাইবান্ধা হর্টিকালচার সেন্টারের বাণিজ্যিক মিশ্র ফল বাগান প্রদর্শনী ৫টি, ফল বাগান ৫টি এবং ৫টি বসতবাড়িতে বাগান প্রদর্শনী বাস্তবায়িত হয়েছে। চলমান কার্যক্রমের মধ্যে আম, মাল্টা, কমলা, পেয়ারা, আনার, বেল, আতা, জাম, লটকণ ফলের চারা প্রদর্শনী ও সরকারের নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। এ সব বাগানে ৯১ প্রজাতির ফলের চারা পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া দেশি ও বিদেশি ফলের মাতৃবাগান স্থাপন চলমান রয়েছে।

এ সব বাগানে বিদেশি ফলসমূহের মধ্যে রয়েছে থাই লংগান-পিংক, রেড ও হোয়াইট, ড্রাগন, লোকুয়াট, মিরাকেল্ল, বেরোবা, অলিভ, পার্সিমন, কফি, জাবোটিকাবা, রোলিনিয়া, নাশপাতি, পিচ, এপ্রিকট, ওয়ালনাট, হেজেলনাট, রাম্বুতান, সুরিনাম চেরি, ব্রাজিলিয়ান চেরি, অস্ট্রোলিয়ান চেরি, বল সুন্দরী, সীডলেস, ভিয়েতনামী খাটো, কাজুবাদাম, অ্যাভোকাডো চারা কলম এখানে রয়েছে। পরে গাইবান্ধা হর্টিকালচার সেন্টারে ১টি উন্নত জাতের ফলের চারা রোপণ করেন।

পরিদর্শনকালে হুইপ গিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুষ্টি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গাইবান্ধা হর্টিকালচার সেন্টার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, এখানকার মাটি অত্যন্ত উর্বর যে কোনো বীজ ও চারা রোপ করলে সহজেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। এ লক্ষ্যে ২০১৮ সালে ২১ জুলাই হর্টিকালচার সেন্টার এখানে প্রতিষ্ঠা করা হয়।

এইচএ /এএল