• ঢাকা রবিবার
    ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১

শোক দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত না রাখার অভিযোগ

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২২, ০১:০৬ এএম

শোক দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত না রাখার অভিযোগ

সুদীপ্ত শামীম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জাতীয় শোক দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত না রেখেই দণ্ডের সর্বোচ্চ চূড়ায় উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সোমবার (১৫ আগস্ট) উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের মধ্য সাহাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

জাতীয় শোক দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশনায় বলা হয়, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় প্রথমে পতাকা দণ্ডের সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত উত্তোলন করতে হবে। এরপর তা নামিয়ে অর্ধনমিত অবস্থায় বাঁধতে হবে। পতাকা নামানোর সময় আবার দণ্ডের সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত উঠিয়ে ধীরে ধীরে তা নামাতে হবে। পাশাপাশি ছেঁড়া বা বিবর্ণ পতাকা ব্যবহার করা যাবে না। পতাকায় মানসম্মত কাপড় ব্যবহার করতে হবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মধ্য সাহাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবসে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত না রেখেই দণ্ডের সর্বোচ্চ চূড়ায় উত্তোলন অবস্থায় দেখা যায়। এদিন সকাল থেকে এভাবেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে রাখা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, 'শিক্ষকরা হলো মানুষ গড়ার কারিগর। তারা সমাজের উজ্জ্বল নক্ষত্র। সেই শিক্ষকরা কিভাবে এত বড় ভুল করেন তা বোধগম্য নয়। মূলত জাতীয় শোক দিবসে দায়সারাভাবে জাতীয় পতাকা ওড়ানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, জাতীয় শোক দিবসে এভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে জাতীয় পতাকার চরম অবমাননা ও অসম্মান করা হয়েছে। শিক্ষকদের কাছ থেকে এমনটি কাম্য নয়। এর দায় প্রধান শিক্ষক এড়াতে পারেন না। ইতিপূর্বেও ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরকারি নির্দেশনা অমান্য করেছিলেন। তার এ স্বেচ্ছাচারিতা ও দায়িত্বের অবহেলায় প্রতিষ্ঠান প্রধানের শাস্তির দাবি করা হয়।

এ বিষয়ে মধ্য সাহাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান বাদশার সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম হারুন-উর-রশিদ বলেন, 'জাতীয় শোক দিবসে এটা মোটেও কাম্য নয়। শোক দিবসে কি কি করতে হবে ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত কিভাবে করতে হবে তা শিক্ষকদের আগেই জানানো হয়েছে। তারপরেও কেউ ভুল করলে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
 
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফ বলেন, 'এটা অবশ্যই জাতীয় পতাকার প্রতি অবমাননা ও বিধি লঙ্ঘন। আমি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে বলব।'

জেইউ

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ