• ঢাকা রবিবার
    ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১

চালের কার্ডের ডেটাবেজ তৈরিতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২২, ০৯:১৯ এএম

চালের কার্ডের ডেটাবেজ তৈরিতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

সুদীপ্ত শামীম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ কেজি চালের কার্ড নবায়ন বা ডেটাবেজ তৈরিতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।


উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। তিনি পরিষদের উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে প্রত্যেক কার্ডধারীর কাছ থেকে ডেটাবেজ তৈরি করতে ৫০ টাকা করে আদায় করছেন।


জানা গেছে, বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের অসহায় হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ২ হাজার ১১৬টি কার্ড বরাদ্দ রয়েছে। সেই কার্ড নবায়ন ও ডেটাবেজ তৈরির জন্য ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তার কাছে যান কার্ডধারীরা। এ সময় সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা অনলাইনে ডেটাবেজ তৈরি করা বাবদ কার্ড প্রতি ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা করে দাবি করেন। এতে অনেক কার্ডধারী টাকা দিতে রাজি না হলে তাদের কার্ড বাতিলের হুমকি দেওয়া হয়।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে জানান, সরকার অসহায় হতদরিদ্রের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করছে। সেই চালের কার্ড অনলাইন করার জন্য কম্পিউটার অপারেটরের কাছে গেলে টাকা ছাড়া কার্ড অনলাইন করে দেয় না। টাকা দিলে অনলাইন করে দেয়।


সাতগিরি গ্রামের কার্ডধারী শাহজাহান মিয়া বলেন, 'আগের চেয়ারম্যান হামাক চাউলের ফ্রি কার্ড করি দিছে। এখন এই চেয়ারম্যান তাক অনলাইন করার জন্য ৫০ টাকা করি নিবের নাগছে। হামরা গরিব মানুষ, কেমন করি এই টাকা দিমো।'


ওই ইউনিয়নের অপর এক কার্ডধারী মর্জিনা বেগম বলেন, 'হামাক নজমুল চেয়ারম্যান আগোত চাউলের কার্ড ট্যাকা ছাড়ায় করি দিছে। জব্বার চেয়ারম্যান এখন ২০ টাকা করি নিবের নাগছে।'


বিষয়টি অস্বীকার করে বামনডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জব্বার সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, 'বিষয়টি ডিলাররা দেখছেন। আমি টাকা নেব কেন? কার্ডধারীদের এমন অভিযোগ সত্য নয়।’


সুন্দরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. হাবিবুর রহমান সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, 'কার্ডগুলো ডিজিটাল করা হচ্ছে। আর এ কাজে কোনো টাকা পয়সা লাগবে না বিষয়টি বলা আছে আমাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে। এরপরও কেউ টাকা নিয়ে থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'


সুন্দরগঞ্জ উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফ সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, 'খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির কার্ড ডেটাবেজে বা নবায়নে কোনো প্রকার টাকা নেওয়া যাবে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে বলেছি। ঘটনার সত্যতা পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'


এইচএ/এএল 



দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ