প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২২, ০৬:৪২ এএম
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অর্ধশত মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা ঘাতক এমবি অভিযান-১০ লঞ্চটি শনিবার (১৩ আগষ্ট) বিকালে ঝালকাঠি ত্যাগ করেছে। ঢাকা-বরগুনা রুটে চলাচলকারী লঞ্চটির মালিক হাম জালাল শেখের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ নৌ-আদালতে মালিক পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে মেরামতের জন্য হস্তান্তরের নির্দেশে দেওয়া হয়েছে। আটক করার পর থেকে ঝালকাঠি থানার সহকারি পরিদর্শক নজরুল ইসলাম লঞ্চটির জিম্মাদার হিসাবে শহরের ডিসি পার্ক সংলগ্ন সুগন্ধা নদীর পাড়ে আটক করে রাখে।
সেখান থেকে হৃদয়বিদারক স্মৃতিবাহী অভিযান-১০ লঞ্চটিকে মালিক পক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলাধীন দপদপিয়া পুরাতন ফেরীঘাট সংলগ্ন নিজাম শিপিং ডকইয়ার্ডের মেরামত ও পুন:নির্মান করা হবে বলে মালিক হাম জালাল শেখ জানিয়েছে।
ঝালকাঠি থানার এসআই নজরুল ইসলাম জানায়, মালিকের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৪ জুলাই নৌ-আদালত লঞ্চটি মালিক পক্ষের কাছে হস্তান্তরের আদেশ দেন। গত ২৬ জুলাই থানায় ওই আদেশের কপি এসে পৌছলে ১৩ আগষ্ট শনিবার লঞ্চের মালিক ঝালকাঠি থানায় আসেন। থানা পুলিশ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দেখে আনুষ্ঠানিকতা শেষে লঞ্চ মালিকের জিম্মায় লঞ্চটি অবমুক্ত করেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা এমবি অভিযান-১০ লঞ্চটি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে আগুন লাগে। মূহূর্তেই পুরো লঞ্চে আগুন ছড়িয়ে পরলে অসংখ্য লোক অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে হতাহত হয়। অগ্নিদূর্ঘটনার পর প্রায় এক সপ্তাহ সুগন্ধা-বীষখালী নদীতে উদ্ধারাভিযান চালিয়ে অগ্নি দগ্ধ হয়ে মৃত ৪৭ জনের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
স্থানীয় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি লঞ্চ ডুবির ঘটনায় নিখোজ ৫১জনের মোবাইল নাম্বার সহ তালিকা প্রকাশ করলেও পুলিশ ৪০ জনের নিখোজের কথা স্বীকার করে। পরবর্তীতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ঝালকাঠি থানায় দায়েরকৃত দুটি মামলায় পোড়া লঞ্চটিকে জব্দ দেখিয়ে থানা পুলিশ আটক রাখে।
এইচএ