প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২২, ০৪:২১ এএম
কুষ্টিয়া
থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার সেই
নারী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের সিনিয়র
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুমি খাতুন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এর আগে ডাক্তারি পরীক্ষায়
ওই নারীকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। দুপুরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ওই নারীর
ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। সন্ধ্যায় তার জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ওই নারী
জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, তাকে ছয়জন ডাকাত
ধর্ষণ করেছে। তার গলাটিপে মারধরও করেছে। এছাড়াও এক নারী যাত্রীকে নির্যাতন করা
হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী জানান, রাত সাড়ে ১১টার
দিকে সিরাজগঞ্জের একটি হোটেলে পৌঁছায় তাদের বাস। সেখানে খাওয়া শেষ করে গাড়ি ছাড়ার
পাঁচ মিনিট পরই ২০ থেকে ২২ বছর বয়সী তিনজন জন বাসে ওঠে। ওই তিনজন জানায়, সামনে আরও লোক রয়েছে
তাদের। কিছুক্ষণ যাওয়ার পরে আরও চারজনে ওঠে। এরপর তাদের মধ্যে একজন বলে, ‘আরও লোক আছে
আমার।’ কিছুটা পথ যাওয়ার
পর আরও ছয়জন ওঠে। এভাবে তারা ১৩ জন ওঠে বাসে। বাসের একদম পেছনে বসে। কিন্তু এর
মধ্যে একজন তার (ভুক্তভোগী) পাশে বসতে চায়। সুপারভাইজার তাকে উঠিয়ে দিলে কাছের
অন্য একটি সিটে বসে সিগারেট খেয়ে ধোঁয়া ছাড়ে।
তিনি আরও জানান, সিগারেটের ধোঁয়া
ছাড়তে নিষেধ করলে গালাগালি করে তাকে। পরে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর তাদের মধ্যে
থেকে তিনজন চালকের পাশে বনেটে গিয়ে বসে। জানায় সামনে নেমে পড়বে। এক সময় চালককে
উঠিয়ে দিয়ে তারা বাস চালানো শুরু করে। আর বাসচালক ও সুপারভাইজারকে পেছনে নিয়ে
যায়। তারপর পুরুষ যাত্রীদের হাত-মুখ-চোঁখ বাঁধে। পরে মেয়েদেরও বাঁধে। তারা সব
যাত্রীর মোবাইল ফোন, গয়না, টাকা লুট করে।
অনেককে আবার মারধর করে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে (ডাকাত) ছয়জন ধর্ষণ করে তাকে। এ সময়
তার হাত ও চোখের বাঁধন খুলে যায়। তারপর বিভিন্ন জায়গায় গাড়ির গতি কমে ও ডাকাতরা
নামতে থাকে। এরপর ডাকাতদের চালক গাড়ির জানালা দিয়ে নেমে গেলে বাস খাদে পড়ে যায়।
জেডআই/