• ঢাকা শনিবার
    ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ভোলায় চলছে বিএনপির সকাল-সন্ধ্যা হরতাল

প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২২, ০৪:২৪ পিএম

ভোলায় চলছে বিএনপির সকাল-সন্ধ্যা হরতাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলমসহ দুই কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিএনপির ডাকে ভোলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ভোর থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল করেছে। নেতাকর্মীরা ভোলা সদর রোডের কালীনাথ বাজার এলাকায় দলীয় কর্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, শহরের পরিস্থিতি অন্য দিনের মতো স্বাভাবিক রয়েছে।



জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর বলেন, ‘আমাদের হরতাল পণ্ড করার জন্য পুলিশ গতকাল রাতে নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়েছে। কিন্তু নেতাকর্মীরা নিরাপদ স্থানে ছিল। সকাল থেকে প্রশাসনের ভয় উপেক্ষা করে সবাই দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম ও ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমের হত্যার প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ আমাদের হরতালে সমর্থন দিয়েছে। তারা যানবাহন ও দোকানপাট বন্ধ রেখেছে। ভোলায় সফলভাবে হরতাল পালিত হচ্ছে।’

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘আমি ঢাকায় আমাদের সভাপতি নূরে আলম ভাইয়ের মরদেহের সঙ্গে রয়েছি। এখানে ১১টায় প্রথম জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে ভোলায় ফিরব। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হবে।’ 

সরেজমিনে দেখা গেছে, অন্য দিনের চেয়ে জেলায় তুলনামূলক কম যানবাহন চলাচল করছে। সকাল ৯টায়ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সড়কে মানুষের চলাচল কম। সড়কের মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া টহল গাড়িতেও পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। লঞ্চ ও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। হরতালকে কেন্দ্র করে এখনও কোথাও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি।



ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, ‘শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তিনি দাবি করেন, ‘হরতালে শহরে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে। ভোর হওয়ায় দোকানপাট এখনও খোলার সময় আসেনি। যানবাহন স্বভাবিকভাবেই চলাচল করছে।’

ভোলা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আলী সুজা জানান, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট প্রস্তুত রয়েছেন।



৩১ জুলাই দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভোলা জেলা বিএনপির আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশের পরে বিক্ষোভ মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংর্ঘষ বাধে। এতে পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে ৩০ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ১৬৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে। এতে ওই দিনই নিহত হন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম। গুরুতর আহত হন বেশ কয়েকজন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমকে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (৩ আগস্ট) তিনি মারা যান।

এদিকে সংঘর্ষে বিএনপির ৩৭৫ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে দুটি মামলা করে ভোলা সদর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক জসীম। মামলায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

জেইউ
আর্কাইভ