প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২২, ১১:০৪ পিএম
লক্ষ্মীপুরে বাড়ির পাশের খালি জমি থেকে এক
গৃহবধূর অগ্নিদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই গৃহবধূর নাম আমেনা বেগম। শনিবার
(৩০ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলার চরভূতা গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আমেনার
বোন দাবি করেছে জিনে তাকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। ফলে তার মৃত্যু নিয়ে কৌতূহল সৃষ্টি
হয়েছে এলাকায়।
চরভূতা গ্রামের হেজু মাস্টার বাড়ির কৃষক দিদার
হেসেনের স্ত্রী আমেনা। তিন কন্যা শিশুর জননী তিনি। খবর পেয়ে আশপাশের স্থানীয়
বিপুলসংখ্যক নারী-পুরুষ ওই বাড়িতে ভিড় জমায়।
জানা যায়,
তোফায়েল
আহম্মেদ নামে স্থানীয় এক কৃষক সকালে জমিতে কাজ করতে যান। এ সময় তিনি আমেনার মরদেহ
দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরিবারের সদস্যরা আমেনার
মরদেহ শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে
পাঠিয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, আমেনাকে পরিকল্পিতভাবে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে তার মরদেহ বাড়ির পাশের
জমিতে ফেলে রাখা হয়। তার হাত-পা, পিঠসহ শরীরের প্রায়
৫০ শতাংশ আগুনে দগ্ধ ছিল।
আমেনার বোন ফাতেমা বেগম বলেন, ‘২০১৪ সালে দিদার হোসেনের সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে হয়। তাদের
মধ্যে সাংসারিক কোনো ঝামেলা ছিল না। তবে তার বোনের ওপর জিনের আঁচর ছিল। কবিরাজের
মাধ্যমে কয়েকবার তার চিকিৎসা করানো হয়েছে। তবে তার সঙ্গ থেকে জিন যায়নি। জিনরাই
বোনকে পুড়িয়ে মেরে ফেলেছে।’
লক্ষ্মীপুর মডেল থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, ‘গৃহবধূর মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ অবস্থায় দেখা গেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক রহস্য উদঘাটন করা যাবে।’
এআরআই/এএল