চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় মূলহোতা আজিমসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এদের মধ্যে তিনজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও একজন বহিরাগত।
শনিবার (২৩ জুলাই) সকালে র্যাব ৭-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও হাটহাজারী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মো. মাহফুজুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, শুক্রবার (২২ জুলাই) মধ্যরাতে চট্টগ্রামের রাউজান ও আশপাশের এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. আজিম হোসাইন, মাসুদ, মোহাম্মদ বাবু। এরা তিনজনই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। আরেকজনের নাম শাওন। তিনি বহিরাগত। র্যাব জানিয়েছে, এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
কোম্পানি কমান্ডার মো. মাহফুজুর রহমান জানান, ওই ছাত্রীকে মারধর করেন বহিরাগত শাওন। আর ভিডিও ধারণ করেন আজিম হোসাইন। এ সময় শাওনের মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়।
গতকাল শুক্রবার রাতে শিক্ষার্থীকে হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের ধরতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হলে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি।
গত রোববার (১৭ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় পাঁচ যুবক এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন করে। ওই ছাত্রীকে গাছে বেঁধে বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণেরও অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দফায় দফায় আন্দোলন, মানববন্ধন ও উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করে। আন্দোলনে তারা প্রশাসনকে ৪ দফা দাবি পেশ করে। বেধে দেয়।