
প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২২, ১০:১৯ এএম
রংপুরে সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত প্রতি ঘন্টায় লোডশেডিং এর দেখা মিলেছে। এতে পূর্ব নির্ধারিত সিডিউল অনুযায়ী রংপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকাল ৮টা থেকেই প্রতি এক থেকে দেড় ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং অব্যাহত রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষজন।
প্রচন্ড তাপদাহ ও লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে নাভিশ্বাস উঠেছে তাদের।তবে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় এলাকা ভিত্তিক এক ঘন্টা লোডশেডিং সম্ভব হচ্ছে না।
জানা যায়, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) মাধ্যমে রংপুর নগরীসহ আশেপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এর আওতায় কয়েক হাজার সাধারণ গ্রাহকসহ বিভিন্ন শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে।গত সোমবার সরকারের পক্ষ থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের ঘোষণা দেয়া হয় এবং তা আজ মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবার কথা। তবে প্রথমদিনেই ছিল এর বিপরীত চিত্র।
নগরীর নুরপুর এলাকার ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, মঙ্গলবার থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের কথা শুনে কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছিলাম যে, নির্দিষ্ট একটা সময়ে একবার বা দুইবার লোডশেডিং হবে। কিছুটা কষ্ট হলেও সেটা মেনে নেয়া যাবে। কিন্তু এখনতো উল্টো চিত্র দেখছি। প্রতি ঘণ্টায় যেভাবে লোডশেডিংয় হচ্ছে তাতে নাভিশ্বাস উঠেছে।
কামাল কাছনা এলাকার বাসিন্দা নিশাত ইসলাম বলেন,বিদ্যুৎ এক ঘণ্টা থাকছে তো দুই ঘণ্টা থাকে না। এ অবস্থায় আমরা নগরবাসী চরম ভোগান্তি স্বীকার করছি।
রংপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে জেনারেটর দিয়ে হিমাগার চালানো হচ্ছে। এতে করে হিমাগারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এ কারণে মজুদকৃত পণ্যের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। আলু বীজের সমস্যা আরও বেশি দেখা দিতে পারে।
নেসকো লিমিটেডের রংপুর বিতরণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী শাহাদৎ হোসেন সরকার সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, চাহিদা অনুযায়ী রংপুরে ৭৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। কিন্তু সেখানে আমরা পেয়েছি ৪৪০ মেগাওয়াট। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করছি।
এইচএ