• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১

নাটোরে খরায় পুড়ছে পাটচাষিদের স্বপ্ন

প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২২, ১০:২৫ পিএম

নাটোরে খরায় পুড়ছে পাটচাষিদের স্বপ্ন

লিটন হোসেন লিমন, নাটোর প্রতিনিধি

প্রখর রোদ আর অনাবৃষ্টির কারণে নাটোরে পুড়ছে কৃষকের স্বপ্নের পাট। তপ্ত খরায় মাটি ফেটে চৌচির, শুকিয়ে যাচ্ছে পাটগাছ। ফলে পাটচাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। পানির অভাবে পাটগাছ জাগ দিতে পারছেন না চাষিরা। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। স্বপ্নের সোনালি আঁশ এখন কৃষকের গলার ফাঁসে পরিণত হয়েছে।

নাটোর জেলার লালপুর, বাগাতিপাড়া, বড়াইগ্রামসহ বিভিন্ন উপজেলায় দেখা গেছে, বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠের পাট মাঠেই পুড়ছে। বর্ষা মৌসুমে প্রকৃতিতে চলছে গ্রীষ্মের তাপদাহ। পাট কাটার সময় পার হতে চললেও অনেক কৃষক পানির অভাবে পাট কাটতে পারছেন না। বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছেন। অনেকে কেটেও পানির অভাবে জাগ দিতে না পেরে জমিতে স্তুপ করে রেখেছেন। কেউ কেউ শুকনো পুকুর-নর্দমায় মাটি দিয়ে দাবাই রেখেছেন, অনেক কৃষক পুকুর বা ছোট জলাশয় ভাড়া করে সেচ দিয়ে পানির ব্যবস্থা করে পাট জাগ করছেন। ফলে পাট জাগে অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে। চাষিদের সব খরচ উঠবে কি না তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।



লালপুর উপজেলার মাহরাজপুরের পাটচাষি খোরশেদ আলম বলেন, ‘এ বছর ৫ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি। পাটের ফলন ৫০ হতে ৬০ মণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে বাজারে দামও তেমন ভালো না। আমি পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে চিন্তার মধ্যে আছি। বাড়ির পাশে পুকুরও শুকিয়ে গেছে। পানি দিয়ে পাট জাগ দিতে হবে।’

বাগাতিপাড়া উপজেলার তমালতলা এলাকার পাটচাষি আয়ুব আলী জানান, গত বছর পাটের ভালো দাম পেয়ে এ বছর তিনি ৪ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। কিন্তু পাট কেটে আটি বেঁধে রাখার পর এখন পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না। ফলে পাট নিয়ে দুচিন্তায় পড়েছেন তিনি।

নাটোর সদর উপজেলার চাঁদপুর এলাকার পাটচাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, ’এ বছর ৬ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছি না। যদি কয়েক দিনের মধ্যে পানি না হয় তাহলে সম্পূর্ণ পাট নষ্ট হয়ে যাবে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ড. ইয়াছিন আলী বলেন, ’নাটোর জেলায় এবার পাটের ফলন ভালো হয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাট কাটা শুরু হয়েছে। কিন্তু পানির অভাবে কৃষকরা পাট জাগ দিতে পারছেন না। আমরা কৃষকদের রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট পচানোর পরামর্শ দিচ্ছি। এতে যেমন খরচ কম, তেমনি পাটের মানও ভালো থাকে।’

জেইউ

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ