• ঢাকা রবিবার
    ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১

বর্ষার শোভিত বাহারি ফুল

প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২২, ০৮:৫৭ এএম

বর্ষার শোভিত বাহারি ফুল

বশেমুরপ্রবি প্রতিনিধি

ফুল কার না পছন্দের! সব ধরনের শুভ কাজে ফুল যুগযুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে এই ফুল যদি গাছে থাকে তবে সেটাই হবে সবচেয়ে বেশি মানানসই। আর সেই গাছ যদি পাহাড়ের পাদদেশে হয় তবেতো তার সৌন্দর্যের আর সীমা থাকে না। ঠিক এমনি সৌন্দর্যের দেখা মিলেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি)।


বর্ষার শুরু থেকেই দেশি-বিদেশি রকমারি ফুলে সাজতে শুরু করেছে দেশের অন্যতম উদ্ভিদ সংগ্রহশালার এই ক্যাম্পাস। প্রায় সাড়ে তিনহাজার প্রজাতির গাছের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফুটে উঠেছে এই ফুল গাছগুলো।


বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকগুলো থেকে শুরু করে বিভিন্ন চত্বর ও ভবনগুলোর সামনে শোভা পেয়েছে বাহারি ফুল। তবে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় হয়েছে ক্যাম্পাসের লেকপাড়ে অবস্থিত কৃত্রিম পাহাড়। যেখানে বৃহৎ লেকের পাশে দেশি রাধাচূড়া, চন্দ্রমল্লিকা, স্থলপদ্ম, কাঠগোলাপ থেকে শুরু করে শোভা পেয়েছে বিদেশি ক্র্যানবেরি হিবিস্কাসের মতো ফুল। পাশাপাশি বিভিন্ন বনজ গাছের সঙ্গে দেশি পাখিদের আনাগোনা পাহারটিকে সৌন্দর্যের এক ভিন্ন মাত্রায় যোগ করেছে।


এরইমধ্যে পাহাড়ে প্রাকৃতিক নৈসর্গিক রুপে সাজাতে করোনাকালীন ছুটিতে নতুন রুপ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পাহাড়ের অবাঞ্চিত ঝোপঝাড় পরিষ্কারসহ কয়েকটি ঢালে সাজানো হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সময় কাটানোর জন্য লাইটিং করে বসানো হয়েছে বেশকটি বেঞ্চ। নির্মল প্রকৃতির সবুজ চাদরের আচ্ছাদিত পাহাড়ের এই বেঞ্চগুলোয় বসে অবলোকন করা যাবে পুরো ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য।


প্রতিদিন বিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম শেষে একঘোয়েমি দূর করতে পাহাড়টিতে দল বেধে ছুটে আসে শিক্ষার্থীরা। বিকেল হতে না হতে পুরো এলাকাজুড়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশের আবছায়া তৈরি হয়। কেউ কেউ দলবেধে গিটার নিয়ে গান করে, কেউ গ্রুপস্টাডিতে আবার কেউবা প্রিয়জনের পাশে বসে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার আঁধার গায়ে মেখে হলে ফিরে।


অন্যান্যদের মতো প্রতিদিন পাহাড়ে সময় কাটান পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মেজবা রহমান। শীতকালীন এই কৃত্রিম পাহাড়ের সৌন্দর্যের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, জায়গাটি পুরো ক্যাম্পাসের প্রতিটি শিক্ষার্থীর অন্যতম পছন্দের স্থান। সারাদিনের সব ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট ও ল্যাব শেষে যখন প্রিয়জনের সাথে এই পাহাড়ে আসি, তখন সব ক্লান্তি ভুলে যাই। সামান্য সময়ের জন্য হলেও ডুবে যাই প্রকৃতির নৈসর্গিক এক প্রতিচ্ছবিতে।


বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো আরেক শিক্ষার্থী সুমন সাহার মতে, প্রতিদিন গিটার হাতে বন্ধুদের সাথে এখানে সময় কাটাতে না পারলে দিনের পূর্ণতা আসে না। এমন সৌন্দর্যের মাঝে গলা ছেড়ে গলা ছেড়ে গান গাওয়ার মজাই আলাদা। তাইতো প্রতিদিন সব কাজ ফেলে ছুটে আসি এই পাহাড়ে।

জাতির পিতার নামে গড়ে ওঠা এই বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষের অক্লান্ত পরিশ্রমে বর্তমানে দেশের সুন্দর ক্যাম্পাস গুলোর একটি। এরইমধ্যে হাজারো প্রজাতির বৃক্ষরোপণে সরকারের কাছ থেকে স্বর্ণপদক অর্জন ছাড়াও কুড়িয়েছে নানা সম্মাননা।


এইচএ 


দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ