
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২২, ০৮:৪১ এএম
ওয়াহিদুল ইসলাম ডিফেন্স, ফুলবাড়ী প্রতিনিধি
দেশের একমাত্র উৎপাদন শীল কয়লা খনি দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে সেরাজুল ইসলাম (৩৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকাল সাড়ে সাতটায় অতিরিক্ত তাপদাহে হিস্টক হয়ে তার মৃত্যু হয়। শ্রমিক সেরাজুল ইসলাম পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের ঘুঘুমারী গ্রামের আইনুল হকের ছেলে। সে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির চিনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসির এক্সএমসির অধিনে কয়লা উৎপাদনের কাজ করতো।
খনি সূত্রে জানা গেছে সেরাজুল ইসলাম বুধবার (১৩ জুলাই) রাত ১১ টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার সিপ্টের কাজ শেষ করে খনির উপরিভাগে তার রুমে আসার সময় হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়ে, এসময় তার সহকর্মীগণ সেরাজুলকে খনির অভ্যান্তরের চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে গেল সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সুলতান মাহমুদ, ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন শ্রমিক সেরাজুল ইসলামের হীট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে। তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
খনি শ্রমিকেরা বলছেন অতিরিক্ত তাপমাত্রার মধ্যে তাদের কাজ করতে হয়, কাজ শেষে আবার টিনের ঘরে তাদের থাকতে হয়, এতেকরে তারা অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন। সেরাজুল ইসলাম গত ৩ জুন পরিবারের সদস্যদের রেখে খনির কাজে যায়। একমাস পর তারা মরদেহ বাড়ীতে
আসে। সেরাজুলের মৃত্যুর খবরে আহাজারী করছে তার স্বজনেরা।
উল্লেখ্য চলতি বছরের গত ৩ জুন সেরাজুল ইসলামসহ শ্রমিকদের একটি দলের সাথে কাজে যোগদেন, সেখানে হোম কোয়ারেন্টিনে থেকে ১১ জুন থেকে কাজ শুরু করেন। ১৪ জুলাই সকাল সকাল সাড়ে ৭টায় তার মৃত্যু হয়। এদিকে কাজে যোগদেয়ার একমাস পর সেরাজুল ইসলামের মরদেহ পরিবারে নিকট ফেরত আসে। এতে শোকের ছায়া নেমে আসে তার এলাকায়।
খনি শ্রমিকরা অভিযোগ করেন সারাদেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিক ভাবে সকল অফিস আদালত চললেও, কেবল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ খনিতে লকডাউন করে রেখেছে, যার কারণে শ্রমিকরা মাসের পর মাস পরিবার পরিজনকে ছেড়ে খনির ভিতরে টিনের ঘরে গাদাগাদি করে বসবাস করে খনিতে কাজ করতে হচ্ছে, এতে তারা প্রায় সময় অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন।
বিষয়টি নিয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান খান বলেন, মৃত্যুবরণ কারী শ্রমিক চিনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক, শ্রমিকদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন খনিটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চিনা কোম্পানীর অনুরোধে ও কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে খনি এলাকায় লকডাউন রাখা হয়েছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হলে খনি এলাকা স্বাভাবিক করা হবে বলে তিনি জানান।
এইচএ