• ঢাকা রবিবার
    ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১

আক্কেলপুরে ঠিকাদারের কাজে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২২, ১২:০১ পিএম

আক্কেলপুরে ঠিকাদারের কাজে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

মাহফুজ রহমান, জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে রাস্তা হওয়ার প্রায় ৪ দিনের মাথায় আঙ্গুলের চাপে পিচ ও পাথর ওঠে যাওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। নিম্নমানের কাজ হওয়ায় ঠিকাদারের উপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। উপজেলার গোপিনাথপুর থেকে ফুলদিঘীর রাস্তায় এ ঘটনা ঘটেছে।

রাস্তার কাজটি চলছে উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাশ্ববর্তী ক্ষেতলাল উপজেলার সীমান্ত ফুলদিঘী বাজার পর্যন্ত। রাস্তাটির ১৯২৩ মিটার কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৪১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৮০৫ টাকা। রাস্তার কাজটি করছে বগুড়ার মেসার্স রবি এন্ড ব্রাদার্স নামক এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার (৬ জুলাই) সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাত ও পায়ের আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলেই উঠে যাচ্ছে রাস্তার পাথর। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিম্নমানের এ কাজ হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও নিয়মিত চলাচলকারীরা।

স্থানীয়দের ধারণা অল্পদিনে রাস্তা সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে যাবে। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে গ্রামবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনধিরা একাধিকবার মৌখিক অভিযোগ করলেও কোনো লাভ হয়নি। সংবাদ সংগ্রহকালে নিম্নমানের কাজ হয়েছে এমন অভিযোগ করে রাস্তায় চলাচলকারী অনেক পথচারি ও চালকদের ঠিকাদারকে বকাবকি করতেও দেখা গেছে।

নিম্নমানের কাজের অভিযোগ পেয়ে রাস্তার কাজটি পরিদর্শন করেন জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আলাউদ্দিন হোসেন, উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয়ের কর্তা রাকিব হাসান, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মোকছেদ আলী, গোপিনাথপুর ইউপি. চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

এ সময় ঠিকাদারের উপস্থিতিতে এলাকায় একত্রিত হয়ে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে এমন অভিযোগ করেন কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের নিকট।

ওই এলাকার ট্রাক চালক মজনু বলেন,‘ রাস্তার কাজ খুবই খারাপ হয়েছে। রাস্তা বেশি দিন টিকবে না। এখনই পিচি ও পাথর ওঠে যাচ্ছে। ’

৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ বলেন,‘ আমাদের এলাকায় এর আগে কখনও এত খারাপ কাজ হয়নি। আমি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। রাস্তা ছোট হলেও হবে, কিন্তু আমাদের গ্রামবাসীর দাবি রাস্তার কাজ ভালো করে দিতে হবে।’

গোপিনাথপুর ইউপি সদস্য লিটন জোয়াদ্দার জানান,‘ আমাদের এলাকায় চলমান রাস্তার কাজটি খুবই নিম্নমানের হচ্ছে। ঠিকাদার কাজে ফাঁকি দিচ্ছে। পা দিয়ে চাপ দিলেও রাস্তার পাথর ওঠে যাচ্ছে। ঠিকাদারকে এ বিষয়ে অবগত করলেও তিনি কর্ণপাত করছেন না। আমি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে অবগত করেছি। এ কারণে ঠিকাদার আমাকে ফোনে বলেন আমি কারো পরোয়া করিনা। ’

তবে জনসম্মুখে কর্তাদের কাজের মান ঠিক আছে এমটি বুঝাতে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে ঠিকাদারকে। তবে সংবাদ সংগ্রহকারীদের সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেন ঠিকাদার।

এলজিইডি'র জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আলাউদ্দিন হোসেন বলেন, রাস্তার কাজে হওয়া ক্রুটিগুলো সংশোধন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন। অন্যথায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়, এলজিইডি, জয়পুরহাট জেলা, রাজশাহী।

আরআই/এএল

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ