• ঢাকা রবিবার
    ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১

নাটোরে জমে উঠেছে পশুর হাট

প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২২, ০১:১৮ এএম

নাটোরে জমে উঠেছে পশুর হাট

মো: লিটন হোসেন লিমন, নাটোর প্রতিনিধি

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নাটোরে জমে উঠেছে কোরবানির পশু বেচাকেনা। কোরবানি উপলক্ষে হাটগুলোতে পর্যাপ্ত পশুর পাশাপাশি ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে পশু আমদানি বেশি হলেও দাম বেশি হওয়ায় বেচাকেনা কম। 

নাটোর জেলার তেবাড়িয়া হাট, বড়াইগ্রাম উপজেলার মৌখাড়া হাট, বাগাতিপাড়ার পেড়াবাড়িয়া, গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড়, গোপালপুর উপজেলার মধুবাড়ী হাট ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।



নাটোর জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় তিন লাখ ৪৬ হাজার ৫৭৫টি কোরবানির পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার মধ্যে নাটোর সদর উপজেলায় ৫৮ হাজার ৭৬০টি, বাগাতিপাড়া উপজেলায় ২৭ হাজার ৯১৮টি, নলডাঙ্গা উপজেলায় ২৯ হাজার ২৮০টি, লালপুর উপজেলায় ৪১ হাজার ৯০৭টি, গুরুদাসপুর উপজেলায় ৮৫ হাজার ১০০টি, সিংড়া উপজেলায় ৫৫ হাজার ১০১টি এবং বড়াইগ্রাম উপজেলায় ৪৮ হাজার ৫০৮টি কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে।

এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি অনলাইন প্লাটফর্ম 'নাটোর পশুর হাট' ও 'অনলাইন ডিজিটাল পশুর হাট' থেকে কোরবানির পশু কেনাবেচাসহ ব্যক্তি উদ্যোগে এবং খামারসহ প্রায় ৫৫ থেকে ৬০টি অনলাইন প্লাটফর্মে কোরবানির পশু কেনাবেচার কাজ শুরু হয়েছে।

নাটোর সদর উপজেলার ডালসড়ক এলাকার খামারি আবুল কালাম বলেন, ’৩ বছর আগে খামার গড়েছিলাম। খামারে মোট ২০টি ষাঁড় গরু রয়েছে। যার মধ্যে ১৮টি ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যদি গরুর দাম বর্তমান বাজারমূল্যে থাকে তাহলে খামারিরা লাভবান হবে।’

সিংড়া উপজেলার খামারি রহিম শেখ বলেন, ’পাঁচ বছর আগে শখের বশে একটি খামার তৈরি করি। খামারে বর্তমানে ১৮টি ষাঁড় গরু রয়েছে। যার মধ্যে তিনটি গরু বিক্রি করেছি। বাকী গরু ঈদের সময় বিক্রির আশা করছি। যদি এমন দাম থাকে তাহলে লাভবান হতে পারবো।’ 



পশু কিনতে আসা মোনারুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, ’প্রতিবছর খামার থেকে গরু কিনে থাকি। খামার থেকে গরু কিনলে সুবিধা রয়েছে, ঈদ পর্যন্ত খামারে রাখা যায়। বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হয় না। তবে এ বছর গরুর দামটা বেশি।‘ 

হাটে গরু কিনতে আসা নাসিম উদ্দিন নামে এক ক্রেতা বলেন, ’কোরবানি করার জন্য মাঝারি গরু খুঁজছি। এ বছর গরু প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দাম বেশি মনে হচ্ছে। যেহেতু কোরবানি করতে হবে তাই বেশি দাম দিয়েই গরু কিনতে হচ্ছে।’

নাটোর জেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মোস্তফা সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, ’নাটোর জেলায় প্রায় সাড়ে তিন লাখ কোরবানির পশু প্রস্তত রাখা হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। খামারগুলোতে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পশু উৎপাদনে খামারিদের প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে নিয়মিত পরামর্শসহ বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন হাট ও খামারগুলোতে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু হয়েছে।’

জেইউ

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ