প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২২, ১০:০৬ পিএম
বন্যার পানিতে ভাসছে দেশের
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলা সিলেট, সুনামগঞ্জ, রংপুর ও
কুড়িগ্রাম। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম সফিউদ্দিন
আহমেদ বলেছেন, সারাদেশের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বহু সেনা
সদস্যকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রবিবার (১৯ জুন) দুপুরে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ
উপজেলায় বন্যাকবলিত এলাকা পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছি। সেনাবাহিনী, সরকারের সব অর্গান চেষ্টা করে যাচ্ছে। দুর্গম এলাকাগুলো থেকে পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করতে সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা চিকিৎসা ও খাদ্য সহায়তাও দিচ্ছে পানিবন্দি মানুষকে।’
জেনারেল এস এম সফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জে যারা কাজ করছেন তাদের আর কিভাবে আমরা সহযোগিতা করতে পারি, সেনাসদর থেকে আমরা কি করতে পারি, তা জানতেই এখানে এসেছি। আমরা কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, সাভার ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকেও ফোর্স পাঠাচ্ছি, নানা সরঞ্জামাদি পাঠাচ্ছি।
তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখনও অনেক সেনাসদস্যকে স্ট্যান্ডবাই করে রাখা হয়েছে।
সেনাপ্রধান বলেন, বন্যার নেমে যাওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন রেখে যাবে। সেসময় জনদুর্ভোগ কমাতে সেনাবাহিনীর পরবর্তী কার্যক্রমের প্রস্তুতি নিচ্ছে সেনাবাহিনী।
বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সেনা সদস্যদের সর্বোচ্চ ত্যাগের মনোভাব নিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
জেনারেল এস এম সফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের সম্মিলিতভাবে এই দুরে্যাগ মোকাবিলা করতে হবে। সবাই সহযোগিতার মনোভাব না দেখালে আমরা পিছিয়ে যাবো।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ সেনাসদস্যদের মাধ্যমে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে।
সেনাপ্রধান বলেন, পুরো বিষয়টি সমন্বয় করা করে ত্রাণ সহায়তা পৌছে দেওয়া হবে বানভাসী মানুষের কাছে।
তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তিনি বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সুনামগঞ্জ জেলা পরিদর্শনেও যাবেন।
সেনাপ্রধান জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতো মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির একদল শিক্ষার্থীও সিলেটে এসে আটকা পড়েছিল। সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের উদ্ধার করেছে।
সেনাবাহিনীর উদ্ধার তৎপরতার কথা তুলে ধরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম সফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতিকূল স্রোত, ধারাবাহিক বৃষ্টি আর অন্ধকারের মধ্যেই দুর্গম এলাকা থেকে মানুষদের উদ্ধার করতে যতটুকু পারি আমরা চেষ্টা করছি। আমার ব্যক্তিগত উপস্থিতি এটাই নির্দেশ করে যে এই পরিস্থিতিকে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।
জেডআই/