নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
মামুনুল হকের অবৈধ বিয়ের প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম। রোববার (৬ জুন) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
জায়েদুল আলম বলেন, ‘জান্নাত আরা ঝর্ণা ধর্ষণের মামলায় মামুনুল হক নিজেই ফেসবুক লাইভে স্বীকার করেছিলেন যে, তিনি বৈধভাবে বিয়ে করেননি। জিজ্ঞাসাবাদে আমরা সত্যতা ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। মামলাটি তদন্তাধীন আছে। আশা করি, আদালতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা অভিযোগপত্র দাখিল করব। বাদিনী রাষ্ট্রের কাছে ন্যায়বিচার চেয়েছেন। আশা করি, বাদিনী ন্যায়বিচার পাবেন।’
গত ১২ মে সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীর ধর্ষণ ও সহিংসতার চারটিসহ পাঁচ মামলায় হেফাজত নেতা মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে ১৭ মে সিদ্ধিরগঞ্জের একটি মামলায় আরও তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
৩০ এপ্রিল সকালে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুই বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় মামলা করেন জান্নাত আরা ঝর্ণা। যাকে মামুনুল হক তার দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- পিবিআই নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী প্রমুখ।
ডব্লিউএস/এম. জামান
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন