প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২২, ০৮:২২ এএম
দেশে পতাকা উত্তোলনের নিয়ম অনুযায়ী, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে। সন্ধ্যার আগেই পতাকা নামিয়ে ফেলতে হবে।
টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে ২০ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও জাতীয় পতাকাটি নামানো হয়নি। দিন রাত ২৪ ঘণ্টাই উড়তে দেখা গেছে জাতীয় পতাকাটি।
মঙ্গলবার (২৪ মে) রাত পৌনে ৯টার সময়ও গিয়েও জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা গেছে।
এই বিষয়ে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জাতীয় পতাকাটি রাত পৌনে ৯টার সময়ও উড়ছে। সে সময় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাউকে পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন এম্বুলেন্স চালক বলেন, পতাকাটি রোজার ঈদের আগে উত্তোলন করা হয়েছে। তারপর আর নামানো হয়নি। আমরা প্রতিদিনই পতাকাটি রাতেও দেখি।
প্রত্যক্ষদর্শী রাকিব নামে একজন বলেন, রাতে পতাকা টানিয়ে রাখা মানে বাংলাদেশের পতাকাকে অবমাননা করা। আর পতাকাকে অবমাননা করা মানে, আমাদের দেশকে অবমাননা করা।
এবিষয়ে টাঙ্গাইলের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক বলেন, এরকম হওয়া উচিত না। রাতে কেনো পতাকা উঠানো থাকবে । এর সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন ।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও টাঙ্গাইল কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি আনিসুর রহমান (দাদুভাই) বলেন, ৩০ লক্ষ শহীদ, ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জত আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমাদের এ স্বাধীন দেশ, স্বাধীন পতাকা। এই পতাকার অবমাননা করা মানে জাতিকে অবমাননা করা।
এই বিষয়ে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আলী খান মুঠো ফোনে বলেন, আমার অফিসের আউটসোর্সিংয়ের নজরুল নামের একজন কর্মচারীকে পতাকা উঠানো ও নামানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সে অসুস্থ। তাই হয়ত এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।
এই বিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বলেন, এটি একটি অন্যায়, এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এইচএ