• ঢাকা রবিবার
    ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১

বান্দরবানে পর্যটনের নতুন পালক দেবতাখুম

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২২, ০৪:০১ এএম

বান্দরবানে পর্যটনের নতুন পালক দেবতাখুম

বি কে বিচিত্র, বান্দরবান

দেবতাখুম বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলায় অবস্থিত। নৈসর্গীক বান্দরবানকে বলা হয় খুমের স্বর্গরাজ্য আর এই রাজ্যের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট নিঃসন্দেহে দেবতাখুমের কাছেই যাবে। স্থানীয়দের মতে প্রায় ৫০-৭০ ফুট গভীর এই খুমের দৈর্ঘ্য ৬০০ ফুট যা ভেলাখুম থেকে অনেক বড় এবং অনেক বেশি বন্য।

দেবতাখুম যেতে হলে আপনাকে প্রথমে রোয়াংছড়ি থেকে কচ্ছপতলী আর্মি ক্যাম্প যেতে হবে। সেখান থেকে অনুমতি নিয়ে ট্রেক করে শীলবাঁধা পাড়া (লিরাগাঁও) যেতে হবে। অবশ্যই শীলবাঁধা পাড়া থেকে বাঁশের মজবুত ভ্যালা বানিয়ে নিতে হবে। শীলবাঁধা গিয়ে প্রথমে পং সু আং খুম পার হতে হবে। এরপর দেবতাখুমের শুরু। স্থানীয়দের কাছে এটা হলো সোনাখুম। অনেকে আবার মারমা ভাষায় থংচিখুম নামেও ডাকেন।


অসম্ভব রকমের অ্যাডভেঞ্চার, একেবারে মনকে ভয়ার্ত করে দেওয়ার জন্যে পারফেক্ট দেবতাখুম। ট্রেকিং, অ্যাডভেঞ্চার, রিস্ক, ভেলার কায়াকিং সবকিছুর একটি কম্বো প্যাকেজ এই দেবতাখুম। একেবারে নেটওয়ার্কের বাইরে, ভিন্ন এক পরিবেশ। আশপাশের সব সুনসান। শব্দ হিসেবে থাকবে উপর থেকে পানির ফোটা পরার শব্দ। নিজেদের ভেলার আওয়াজ এবং আপনার কথারই প্রতিধ্বনি! আশপাশের পরিবেশটা এত ভুতুড়ে আর নিরব যে এটা আপনাকে সত্যি সত্যিই অ্যাডভেঞ্চারের ফিল এনে দেবে। বড় বড় দুই পাহাড়ের মাঝখানের এই খুম (গর্ত/যেখানে পানি জমে) ভেতরের দিকে অন্ধকার। এখানে সূর্যের আলো খুব সংকীর্ণ।


দেবতাখুমের ট্রেইল যেমন সুন্দর তেমনি ভয়ংকর। বর্ষায় গেলে ট্রেইলের ঝিরি/পাহাড়ের রূপে যেমন আপনার চোখ আটকাবে তেমনি পিচ্ছিল পাথুরে পথে পা ফসকে বড় ধরনের বিপদে পড়ার আশঙ্কাও থাকে পদে পদে। বিশাল দুটি পাহাড়ের মাঝ দিয়েই চলে গেছে পথ যা ভেলায় করে পারি দিতে হবে। প্রকৃতিকে খুব কাছে থেকে উপভোগ করতে পারবেন এখানটায়। যেন মিশে যাবেন প্রকৃতির সঙ্গে। যাওয়ার পথই আপনাকে বলে দেবেস্বর্গের পথ কতটা সুন্দর হতে পারে।

যেভাবে যাবেন : প্রথমে বান্দরবান হয়ে রোয়াংছড়ি বাজার। সেখান থেকে কচ্ছপতলী হয়ে শীলবাঁধা পাড়া। এরপর পৌঁছে যাবেন দেবতাখুম।

এএমকে

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ