প্রকাশিত: জুন ১, ২০২১, ০৬:৫৭ পিএম
সম্প্রতি আলোচিত ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি তরুণী তানিয়াকে স্ত্রী পরিচয়ে ভারতে নিয়ে যায় আলামিন।
আলামিন
(২৪) টিকটক হৃদয় বাবুর সহযোগী
হিসেবে কাজ করত। তার
বাড়ি যশোর শহরের চাঁচড়া
মধ্যপাড়া এলাকায়। আলামিনের বাবার নাম মনু মিয়া।
তিনি একজন ভ্যানচালক।
অন্যদিকে
ভিডিওতে থাকা লাল ফুলহাতা
টপস পরা মেয়েটির নাম
তানিয়া। তার বাড়ি যশোরের
অভয়নগরে। সে অভয়নগর উপজেলার
বাঘুটিয়া ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের বাসিন্দা শাহিদা বেগমের মেয়ে। তানিয়ার বাবা শাহাদাৎ হোসেন
পাশের গ্রাম ভাটপাড়ায় বসবাস করেন।
ভিডিও
প্রচার হওয়ার পর যশোরে আলামিনের
এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তার পরিবারের
সদস্যরা তাকে শনাক্ত করলেও
তাদের দাবি- আট মাস আগে
তাকে বাড়ি থেকে বের
করে দেয়া হয়েছে। স্থানীয়
পুলিশও বিষয়টির খোঁজখবর নিচ্ছে।
এ
ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মনু
মিয়া বলেন, ‘আলামিন ভালো না। বাইরে
থেকে আলামিনের কাছে লোক আসত।
ঘরে বসে তারা কী
সব (ইয়াবা) খেত। তাই আট
মাস আগে তাদের বাড়ি
থেকে বের করে দিয়েছি।
শুনেছি আলামিন ইন্ডিয়া গেছে, তার বউ বাপের
বাড়ি। সেখানে সে কী করছে
জানি না, তার সঙ্গে
আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই।’
এলাকাবাসী
জানিয়েছেন, আগে থেকেই বেপরোয়া
আলামিন দেশে দুটি বিয়ে
করেছে। দুই সংসারে তার
দুটি সন্তান রয়েছে। তাদের ফেলে সে ভারতে
চলে যায়। ভিডিওতে সে
গোলাপি ফুলহাতা গেঞ্জি ও হাফপ্যান্ট পরিহিত
এবং তার পায়ে কালো
রাবারের ব্যান্ড রয়েছে।
নাম
প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান,
তানিয়া তার মা শাহিদা
বেগম ও ছোটবোন বৃষ্টিকে
নিয়ে এই গ্রামেই বসবাস
করত। মেয়েটি নাচগানের পাশাপাশি বখাটে তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে
ওঠাবসা করত।
যশোরের
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) বেলাল
হোসাইন বলেন, ‘ভারতের তরুণী নির্যাতনের ভিডিও ভাইরালের ঘটনা জেনেছি। তবে
ওই ঘটনায় জড়িত একজনের বাড়ি
যশোরে বলে শুনেছি।’ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও
তিনি জানিয়েছেন।
বিআর/এম. জামান