• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

সুন্দরবনের মাছ, গাছ, ঘাস সবকিছুতেই ওসির ঘুষ বাণিজ্য!

প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২২, ১২:০১ এএম

সুন্দরবনের মাছ, গাছ, ঘাস সবকিছুতেই ওসির ঘুষ বাণিজ্য!

শেখ মোহাম্মদ আলী, শরণখোলা প্রতিনিধি

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ভোলা নদীতে ইলিশের পোনা বা জাটকা ধরা হচ্ছে। এ ছাড়া নদীর পাশে সুন্দরবনের ভেতর মহিষ ঢুকিয়ে চারাগাছ খাওয়ানো, গোলপাতা নিধনও চলে টাকার বিনিময়ে। আর এই ঘুষবাণিজ্যে জড়িত বন বিভাগের ভোলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। এমন অভিযোগ করছেন শরণখোলার সুন্দবরন-সংলগ্ন এলাকাবাসী।


সুন্দরবনসংলগ্ন শরণখোলার সোনাতলা গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সোনাতলা এলাকার ৮/১০ জন জেলে ভোলা নদীতে বাধা জাল পেতে জাটকা (স্থানীয় ভাষায় চাপলি মাছ) ধরছে। একেকটি জালে দেড়-দুই মণ করে জাটকা ধরা পড়ছে। এ সময় এর সঙ্গে অন্যান্য প্রজাতির পোনাও মারা পড়ছে। ফলে ধ্বংসের মুখে ওই অঞ্চলের মৎস্য সম্পদ। এসব জাটকা স্থানীয় বাজারগুলোতে দেদার বিক্রি হচ্ছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ওসি আমিনুল ইসলামকে নৌকাপ্রতি গোনে দেড় হাজার টাকা দিয়ে জেলেরা ভোলা নদীতে মাছ ধরছে। গত ৬ মার্চ শরণখোলা উপজেলা মৎস্য বিভাগ ভোলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন সোনাতলা তজুমিয়ার স্লুইচগেট এলাকায় একটি আড়তে অভিযান চালিয়ে ভোলা নদী থেকে ধরে আনা ১ ইঞ্চি সাইজের ৩৫ কেজি ইলিশের পোনা বা জাটকা জব্দ করে আড়তদার বেলায়েত হোসেনকে আটক করা হয়। পরে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজগর আলী মোবাইল কোর্ট বসিয়ে বেলায়েতকে দেড় হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। জব্দ করা জাটকা স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। এলাকাবাসী আরও জানান, ওসি আমিনুল ইসলাম মহিষপ্রতি তিনশ টাকা করে নেন। এর বিনিময়ে ঢালিরগোপ এলাকার কয়েকজনের ২০/২৫টি মহিষ সুন্দরবনে বিচরণের সুযোগ দিয়েছেন। ফলে মহিষ বনের চারাগাছ, ঘাস খেয়ে সাবাড় করছে। এছাড়া টাকার বিনিময়ে ওই বন কর্মকর্তার সহায়তায় কিছু বাওয়ালী কর্তন-নিষিদ্ধ তেতুলবাড়ীয়া, পাথুরিয়া এলাকা থেকে গোলপাতা কেটে নৌকা বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে। তদন্ত হলে এসব অভিযোগের প্রমাণ মিলবে বলে জানান এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে ভোলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ওসি আমিনুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলা হয়। তবে তিনি তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এগুলো সঠিক নয়।’


আর্কাইভ