প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২২, ০৬:৪১ পিএম
টানা দু’বছর করোনাশূন্য হতে চলেছে
রাজশাহী। করোনা সংক্রমণের হারে এক সময় রেড জোনে থাকা রাজশাহীতে দিনকে দিন কমছে সংক্রমণের
হারও। ফলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য ডেডিগেটেড ওয়ার্ডগুলো
এখন সাধারণ রোগীদের জন্য ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।
গেল ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার পর করোনা সংক্রমিত কোনো রোগী
পাওয়া যায়নি। ওই সময়ের মধ্যে ৬৮ জন তাদের নমুনা দিয়েছিলেন পরীক্ষার জন্য। তবে কারওই
করোনা পজিটিভ ধরা পড়েনি। বর্তমানে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা পজিটিভ রোগী
ভর্তি আছেন মাত্র চারজন।
হাসপাতালের দৈনিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ৮ মার্চ মঙ্গলবার
রাজশাহী জেলার ৮২ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এতে দু’জনের পজিটিভ ধরা পড়ে। পরীক্ষা
বিবেচনায় সংক্রমণের ছিল ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ৭ মার্চ সোমবার রাজশাহীতে করোনা সংক্রমণের
হার ছিল ২ দশমিক ০৪ শতাংশ। এ দিন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের আরটিপিসিআরে ৬৮ জনের করোনা পরীক্ষা
করা হয়। প্রত্যেকেরই ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। গত ৬ মার্চ রাজশাহী জেলার ৮৫ জনের নমুনা
পরীক্ষা করা হয়েছিল। এদের মধ্যে মাত্র দু’জনের পজিটিভ পাওয়া যায়। এ দিন পরীক্ষা বিবেচনায়
রাজশাহীতে সংক্রমণের হার ছিল মাত্র ২ দশমিক ০৭ শতাংশ। গেল ৫ মার্চ রাজশাহীর ৩৫ জনের
নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় ল্যাবে। পরীক্ষার পর একজনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তবে
ইনভ্যালিড হয় ৭ জনের নমুনা। সংক্রমণের হার ছিল ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ৪ মার্চ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবে ৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারওই পজিটিভ পাওয়া যায়নি। তবে গত ৩ মার্চের
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৮৪ জনের করোনা পরীক্ষায় ৩ জনের পজিটিভ ধরা পড়ে। ফলে এ দিন শনাক্তের
হার ছিল ২ দশমিক ০৩ শতাংশ। গত ২ মার্চ ১০০ জনের পরীক্ষায় মাত্র একজনের পজিটিভ আসে।
সংক্রমণের হার মাত্র এক শতাংশ। আর ১ মার্চ ৮২ জনের মধ্যে একজনের করোনা পজিটিভ
পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানি বলেন, ‘গেল কয়েক দিন ধরেই সংক্রমণের হার প্রায় শূন্যের কাছাকাছি চলে এসেছে। হাসপাতালে রোগী কমে গেছে। যে ওয়ার্ডগুলো করোনা ডেডিগেটেড করা হয়েছিল, সেগুলো সাধারণ রোগীদের জন্য এখন উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।