• ঢাকা রবিবার
    ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১

মাটির নিচে আলু যেন কৃষকের গুপ্তধন

প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২২, ০৮:১৫ পিএম

মাটির নিচে  আলু যেন কৃষকের গুপ্তধন

তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা প্রতিনিধি

বাঙালির খাবারে আলুর গুরুত্ব অপরিসীম। ডাল-ভার্ত-ঝোল। এমনকি বিরিয়ানিসহ বিভিন্ন খাবার তৈরি হয় আলু দিয়েই। যা স্বাদেভরা এক মুখরোচক। আলু-ভাতে বাঙালির এ চাহিদা পূরণে সম্প্রতি মাটি খুঁড়িয়ে সংগ্রহ করা হচ্ছে এই ফসল। এ বছরে ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় কৃষকের আলু যেন গুপ্তধনে পরিণত হয়েছে।

সরেজমিনে ৬ মার্চ রোববার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের মুহিষমুড়ি এলাকায় দেখা যায় আলু উত্তোলনের চিত্র। এখানকার কৃষক-শ্রমিকরা আলু সংগ্রহে চরম ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা অন্যান্য ফসলের চেয়ে আলু চাষে বেশি লাভবান হন। বছরে একবার এ ফসল ঘরে তুলে পরিবারের মৌলিক চাহিদা পূরণ করে তারা। তাই মাটির নিচে বড় হওয়া আলু যেন তাদের গুপ্তধন। স্বপ্নের এ ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে এ বছরে মাঠপর্যায়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়। এতে ফলন হয়েছে বাম্পার। দামও রয়েছে ঊর্ধ্বগতি। ফলে চাষির মুখে উঁকি দিচ্ছে হাসির ঝিলিক।

ফাঁসিতলা এলাকার কৃষক মাসুদ রানা জানান, চলতি রবি মৌসুমে এক একর জমিতে আলু আবাদ করেছেন। ফলন ভালো হয়েছে তার। এতে খরচ হয়েছে ৫২ হাজার টাকা। আলু উৎপাদন হয়েছে ২৫০ মণ। বর্তমান বাজার দামে বিক্রিতে প্রায় ৭৫ হাজার টাকা লাভ থাকবে তার।

আরেক কৃষক লিমন মিয়া বলেন, দেড় একর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছিল। এরই মধ্যে হঠাৎ বৃষ্টিতে এক বিঘা জমি নিমজ্জিত হয়। এ কারণে আংশিক ক্ষতি হয়েছে। তবে অধিক ফলন হওয়ায় এ ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যেতে পারে। উৎপাদিত আলুগুলো হিমাগারে সংরক্ষণ করবেন বলে জানান তিনি।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ বলেন, আলু চাষে এই এলাকার মাটি অত্যন্ত উপযোগী। কৃষকদের ভালো ফলন ও লাভবান করতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে।

কেজেড

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ