প্রকাশিত: মার্চ ২, ২০২২, ১০:২৮ পিএম
এ বছর সুন্দরবনে আগাম মধু আহরণ মৌসুম শুরু হচ্ছে। এ
জন্য ১৫ মার্চ থেকে মৌয়ালরা সুন্দরবনে যাত্রা করবে। অন্যান্য বছর ১ এপ্রিল
থেকে মধু সংগ্রহ শুরু হতো। বেশি মধু সংগ্রহের আশায় বন বিভাগ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দেশে মধু উৎপাদনের
অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে সুন্দরবন। সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগে বিভক্ত। প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক মৌয়াল বন বিভাগের অনুমতিপত্র (পাস) নিয়ে বনে মধু সংগহ করতে যায়।
মৌয়ালরা ফলসি, গরান, গর্জন, কেওড়া ও গেওয়া ফুলের মধু সংগ্রহ করে থাকে। এসব গাছে
মৌমাছি মধুর চাক তৈরি করে। এর মধ্যে ফলসি ফুলের মধু উৎকৃষ্ট মানের মধু বলে মৌয়ালরা
জানান। সুন্দরবন থেকে মধু উৎপাদন এবং এ থেকে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে বন
বিভাগ জানায়। প্রতি বছর ১ এপ্রিল থেকে মধু সংগ্রহ শুরু হয়। মে মাস পর্যন্ত মৌয়ালরা
সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করে থাকে। একশ্রেণির লোক বন থেকে অবৈধভাবে মধু সংগ্রহ করে
নিয়ে যাওয়ায় এবার আগাম মধু সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন বিভাগ।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও)
মুহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন বলেন, বেশি মধু সংগ্রহের জন্য এবার মৌসুম শুরুর ১৫ দিন আগে
মৌয়ালদের ১৫ মার্চ থেকে মধু সংগ্রহের পাস দেয়া হবে। ২০২০-২১ অর্থ বছরে পূর্ব সুন্দরবন
থেকে এক হাজার ৪৪ কুইন্টাল মধু, ৩১৩ কুইন্টাল মোম সংগ্রহ হয়। এ থেকে ১০ লাখ ৯৬ হাজার
টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। এছাডা ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ১ হাজার ২২০ কুইন্টাল মধু এবং ৩৬৬
কুইন্টাল মোম সংগ্রহ করা হয়েছে এ থেকে বন বিভাগ ১২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা রাজস্ব আয় করেছে
বলে ডিএফও জানান।