নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের লুধুয়া গ্রামে বিয়ের প্রলোভনে কলেজছাত্রীকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সাগর চন্দ্র দাস (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে সেনবাগ থানা পুলিশ।
সোমবার দুপুরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতার সাগর চন্দ্র দাস বীরকোট গ্রামের মালি বাড়ির দুলাল চন্দ্র দাসের ছেলে । সে পেশায় একজন সেলুন ব্যবসায়ী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষক সাগর কলেজছাত্রীকে বিগত ২০১৯ সালে স্কুলে পড়া অবস্থায় প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এরপর দীর্ঘ তিন বছর তাদের মধ্যে মন দেওয়া-নেওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে ধর্ষক সাগর ২০২১ সালের ৭ ডিম্বের বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ছাত্রীর নিজ বাড়িতে গিয়ে প্রথম র্ধষণ করে। এরপর ধর্ষক আবারও ওই ছাত্রীকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে কানকিরহাট বাজারের আর এস টাওয়ারের নিচতলার একটি ফাস্টফুড দোকানে নিয়ে পর্দাঘেরা একটি কক্ষে ২-৩ সহযোগীকে পাহারা বসিয়ে ধর্ষণ করে।
ওই কলেজছাত্রী সরাসরি ও অভিভাবকদের মাধ্যমে সাগরের পরিবারকে বিয়ের বিষয়টি জানালে তারা সাগরের সঙ্গে ওই বিয়ের ব্যবস্থা করবে বলে কালক্ষেপণ করে। নিরুপায় হয়ে কলেজছাত্রী বাদী হয়ে সাগরকে প্রধান ও অজ্ঞাত তার কয়েক সহযোগীকে আসামি করে গত রোববার রাতে মামলা করেন। রাতেই পুলিশ সাগরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী ও অভিযুক্ত সাগর দুইজন দুই ধর্মের।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোওয়ারী জানান, ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান অভিযুক্ত সাগরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে তাকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এস/এফএ
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন