কক্সবাজার প্রতিনিধি
উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৩ এর ৯ নম্বর ব্লকে থাকতো দুই রোহিঙ্গা পরিবার। গত ৩ মার্চ স্বেচ্ছায় নোয়াখালীর ভাসানচরে গিয়েছিল ওই দুই পরিবারের সদস্যরা। তবে গত ৮ মে সেখান থেকে পালিয়ে ওই দুই পরিবারের ১০ সদস্য।
পালিয়ে যাওয়ার জন্য এক দালালের সঙ্গে ১৫ হাজার টাকা চুক্তি করে রোহিঙ্গারা। ওই দুই পরিবারের ১০ সদস্যকে ভাসানচর থেকে ট্রলারে করে নোয়াখালীর একটি জায়গায় এনে নামিয়ে দেই ওই দালাল। পরে সেখান থেকে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসে তারা। ক্যাম্পে থাকা নিজেদের আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে অবস্থান করছিল ওই ১০ জন।
তবে পালিয়ে এসেও শেষ রক্ষা হয়নি ওই ১০ জনের। এ খবর চলে আসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশ পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) কাছে। শনিবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় কুতুপালং মধুরছরা এলাকা থেকে তাদের আটক এপিবিএন-১৪ এর সদস্যরা।
সিটি নিউজ ঢাকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এপিবিএন-১৪ এর কমান্ডার (পুলিশ সুপার) নাঈমুল হক।
তিনি বলেন, 'ভাসানচর থেকে ১০ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে ক্যাম্পে অবস্থান করছিল বলে আমাদের কাছে খবর আসে। শনিবার বিকেলে স্থানীয় মাঝিদের সহায়তায় আর্মড পুলিশ সদস্যরা ক্যাম্পের অন্য রোহিঙ্গাদের ঘর থেকে ওই ১০ জনকে আটক করে। সন্ধ্যায় তাদের ট্রানজিট ক্যাম্পে পাঠানো হয়।'
পুলিশ সুপার নাঈমুল আরও বলেন, 'জিজ্ঞাসাবাদে আটক রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, ভাসানচরে গিয়ে তাদের ভালো লাগছিল না। তাই দালালের মাধ্যমে এখানে পালিয়ে এসেছে।'
এ বিষয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ শামসুদ দৌজা বলেন, 'যারা ভাসানচর থেকে পালিয়ে এসেছে তাদের যেখানেই পাওয়া যাক না কেন তাদেরকে সেখানেই পাঠিয়ে দেয়া হবে।'
এএএম
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন