• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

ইলিশের সপ্তম প্রজনন এলাকা হচ্ছে বলেশ্বর ও সুপতি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২, ১০:৫৫ পিএম

ইলিশের সপ্তম প্রজনন এলাকা হচ্ছে বলেশ্বর ও সুপতি

শরণখোলা প্রতিনিধি

দেশে সপ্তম ইলিশ প্রজনন বিচরণক্ষেত্র হচ্ছে সুন্দরবনের সুপতি বলেশ্বর মোহনাসংলগ্ন অঞ্চল। নতুন এই ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্র অভয়াশ্রম করার প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট। প্রস্তাবিত নতুন প্রজননক্ষেত্রে ৪৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ৩৪৮ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত অঞ্চল ধরা হয়েছে। এটি হবে দেশের সপ্তম ইলিশ প্রজনন অভয়াশ্রম এলাকা।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সমীক্ষা চালিয়ে নতুন ইলিশের প্রজনন, বিচরণ অভয়াশ্রম করার স্থান নির্ধারণ করেছেন। প্রস্তাবিত এলাকা হচ্ছে, বাগেরহাটের শরণখোলার বগি বন্দরসংলগ্ন বলেশ্বর নদীর মোহনা, সুন্দরবনের সুপতি কোস্টগার্ড স্টেশন, পক্ষিরচরসংলগ্ন, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার শাপলেজাসংলগ্ন ভাইজোড়া, বরগুনার পাথরঘাটার রুইতা এবং পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ার লতাচাপলি ইউনিয়নের লেবুর বাগান পয়েন্ট। বলেশ্বর বলেশ্বর নদীর মোহনা অঞ্চলের প্রস্তাবিত সপ্তম প্রজনন ক্ষেত্রে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট ৩৪৮ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত অঞ্চল ধরা হয়েছে।

প্রস্তাবনায় মধ্য আশ্বিন থেকে মধ্য কার্তিক ২২ দিন সময়কালকে ইলিশ মাছের সর্বোচ্চ প্রজনন মৌসুম নির্ধারণ করা হয়ছে। দেশে বিদ্যমান অপর ৬টি ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্র হচ্ছে, শরিয়তপুরের পদ্মা নদী, মেঘনা-ষাটনল-আলেকজান্ডার, ভোলার শাহবাজপুর, বাউফলের তেতুলিয়া নদী, কলাপাড়ার আন্ধার মানিক নদী এবং বরিশালের হিজলা মেহেন্দিগঞ্জ এলাকা।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য অফিসার এসএম রাসেল জানান, নতুন সমীক্ষায় শরণখোলার বগীর বলেশ্বর নদীর মোহনা সুপতি,পক্ষীরচর এলাকা ইলিশের প্রজননের উপযুক্ত স্থান হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইলিশ গবেষক ড. মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘ইলিশের বাড়ি বাংলাদেশে ইলিশ উৎপাদন আরও বাড়ানোর জন্য ব্যাপক সমীক্ষা চালিয়ে দেশে সপ্তম ইলিশ প্রজনন, বিচরণ অভয়াশ্রম করার জন্য দেশের দক্ষিণে পটুয়াখালী, বরগুনা বাগেরহাটের প্রায় ৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর ৩৪৮ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত অঞ্চল চিহ্নিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ওই কর্মশালায় গৃহিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট চাঁদপুর নদী কেন্দ্র থেকে সপ্তম প্রজনন ক্ষেত্র অনুমোদন দেয়ার জন্য মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে মৎস্য অধিদফতর প্রজনন ক্ষেত্র বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে ওই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জানান।

এএমকে/ডা

আর্কাইভ