প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২, ০৪:২৯ এএম
উত্তরের
জেলা কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে গত
দুদিন ধরে শিলাবৃষ্টি ও
দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে ।
ফাল্গুন মাসে প্রকৃতির এই
বৈরী আবহাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এ জেলার মানুষজন।।
একদিকে দমকা হাওয়ার সঙ্গে
ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টির কারণে
আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে জেলা কৃষি
সম্প্রসারণ অধিদফতর।
কুড়িগ্রাম
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর তথ্যমতে, কুড়িগ্রামে যে পরিমাণ শিলাবৃষ্টি
ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে
গেছে তাতে কৃষি সেক্টরে
তেমন কোনো প্রভাব পরবে
না। তবে আমের মুকুলের
ক্ষতি হয়েছে। জানা যায়, হঠাৎ
করে বয়ে যাওয়া শিলাবৃষ্টি
ও ঝড়ের কারণে গাছপালা
ও বসতবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার
(২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে জেলার
বিভিন্ন স্থানে এ শিলাবৃষ্টি ও
ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়।
কুড়িগ্রাম
নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলাসহ
জেলার বিভিন্ন স্থানে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ের খবর
পাওয়া গেছে। তবে কি পরিমাণ
ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানা সম্ভব
হয়নি।
কুড়িগ্রাম
জেলার সদর উপজেলার পাঁচগাছি
ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের রেজাউল করিম বলেন, ‘হঠাৎ
করে ঝড়ো হাওয়ায় আমার
ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে,
গাছপালা ভেঙে পড়েছে। এ ছাড়াও শিলাবৃষ্টি
হওয়ায় আম গাছের মুকুলের
ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
ফুলবাড়ী
উপজেলার আক্তার হোসেন জানান, আমার উপজেলায় যে
পরিমাণ শিলাবৃষ্টি ও দমকা বাতাস
হলো ২০ বছর পর
এমনটা দেখলাম। তবে এ উপজেলায় কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি
হয়েছে তা পরে জানা
যাবে।
কুড়িগ্রাম
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আব্দুর রশিদ জানান, দমকা
হাওয়ায় কৃষি সেক্টরে তেমন
ক্ষতির আশঙ্কা করছি না। তবে
আমের মুকুলে কিছু নষ্ট হওয়ার
ব্যাপারে আশঙ্কা করছেন তিনি।
কুড়িগ্রাম
জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা
আব্দুল হাই সরকার জানান,
কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ের খবর
জানতে পেরেছি। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের
কাছে কোনো তথ্য আসেনি।
তথ্য পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এএমকে