সিটি নিউজ ডেস্ক
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া যশোরের নওয়াপাড়া গ্রুপের কর্মকর্তা কর্তৃক কর্মী নির্যাতনের ঘটনাটি টাকার মাধ্যমে পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের ছত্রছায়ায় সমঝোতার রূপ দেওয়া হয়েছে। নির্যাতিত ওবায়দুল সমঝোতার বিষয়টি স্বীকার করলেও নওয়াপাড়া গ্রুপের কর্মকর্তাসহ এ ঘটনায় সম্পৃক্তরা বিষয়টি সম্পুর্ণ এড়িয়ে গেছেন।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রাজু আহমেদ নামে এক ব্যক্তি তার ফেসবুকে ওবায়দুলকে নির্যাতনের ভিডিওটি আপলোড করেন। মুহুর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়। নির্যাতিত ওবায়দুল থানায় অভিযোগ দিতে গেলে শেষ অবধি মামলা না হয়ে বিষয়টি টাকার মাধ্যমে দফারফা করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্যাতিত ওবায়দুল অভয়নগর থানায় যান অভিযোগ করতে। পরে অভয়নগর থানার ওসি একেএম শামীম তাকে থানার কম্পিউটার অপারেটরের কাছে অভিযোগ লিখতে পাঠান। এরপর থেকেই তাকে থানা কম্পাউন্ডে পাওয়া যায়নি। এমনকি ওবায়দুলের ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
সূত্র আরও জানায়, রাতেই ওবায়দুলকে নওয়াপাড়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর রবীন অধিকারীর কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে নওয়াপাড়া গ্রুপের কর্মকর্তারও উপস্থিত হন। রবীন অধিকারী দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দেন। পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মাধ্যমে বিষয়টি সমঝোতা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভয়নগর থানার ওসি একেএম শামীম বলেন, ‘নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর আমি নিজে ওবায়দুলকে ফোর্স পাঠিয়ে থানায় আসার জন্য বলি। সন্ধ্যার পর তিনি থানায় এলে তাকে অভিযোগ দিতে বলা হয় এবং তা লেখার জন্য কম্পিউটার অপারেটরের কক্ষে পাঠানো হয়। কিন্তু ওবায়দুল থানা থেকে পালিয়ে যায় এবং তার ফোন বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে তার সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করা যায়নি।’
জানতে চাইলে ভুক্তভোগী ওবায়দুল জানান, রবীন অধিকারীর মাধ্যমে বিষয়টির সমঝোতা হয়েছে। কীভাবে ও কীসের বিনিময়ে সমঝোতা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন