প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২, ০৭:১৯ পিএম
বরিশাল
সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন
কার্যক্রম আরও সহজতর করতে অসুস্থ, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও চলাচলে অক্ষমদের প্রয়োজনে বাড়িতে
গিয়ে টিকা প্রদান করা হবে।’
মঙ্গলবার
(২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে বরিশাল নগরের কালিবাড়ী রোডের সেরনিয়াবাত ভবনে আয়োজিত কোভিড-১৯
গণটিকা কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সব পেশাজীবীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা
বলেন।
মেয়র
সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘আগামী ২৬ মার্চ সারাদেশে বিশেষ টিকা কার্যক্রম
পরিচালিত হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী ওইদিন সারাদেশের সঙ্গে বরিশাল নগরেও করোনার ভ্যাকসিনের
প্রথম ডোজ দেয়া হবে। এর আওতায় যারা এখনও ভ্যাকসিন নিতে পারেননি, তারা সহজেই তা নিতে
পারবেন। এ লক্ষ্যে বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় নির্ধারিত ৭টি কেন্দ্রের পাশাপাশি
১৫টি মোবাইল টিম নগরজুড়ে কাজ করবে। পাশাপাশি অসুস্থ, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও চলাচলে
অক্ষমদের প্রয়োজনে বাড়িতে গিয়ে টিকা প্রদান করা হবে। সে ধরনের প্রস্তুতিও আমরা নিয়ে
রেখেছি।
বরিশাল জেলার সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান বলেন, বিভাগ ও জেলার মধ্যে শুধু বরিশাল সিটি করপোরেশন ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে এগিয়ে রয়েছে। বরিশাল সিটি করপোরেশন এরই মধ্যে তাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। তারা এ পর্যন্ত ১২৪ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছেন। এখন তারা আমাদের সাপোর্ট দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
সভায়
উপস্থিত বরিশাল সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের ডা. খন্দকার শুভ্র বলেন, ‘প্রতিটি
মোবাইল টিমে দুজন করে ভ্যাকসিনের ও তিনজন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। আর এসব মোবাইল টিম লঞ্চঘাট,
বাস টার্মিনাল, বাজার, আদালত প্রাঙ্গণ ও কলোনিকেন্দ্রিক গুরুত্ব দিয়ে ভ্যাকসিন
প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
বরিশাল
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. হুমায়ুন শাহীন খান বলেন, ‘বরিশাল বিভাগে জনসংখ্যা
প্রায় ৯৮ লাখ। এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজ ভ্যাকসিনের
আওতায় এসেছে প্রায় ৫৮ লাখ মানুষ। সেই হিসেবে এ বিভাগে প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা
অর্জন হয়েছে ৫৯ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে প্রায় ৪৫ লাখ
মানুষকে। আমরা চাচ্ছি এ মুহূর্তে ৭০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে। এ ক্ষেত্রে আরও ১০-১২ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে পারলে সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে।’
তিনি
বলেন, ‘বরিশাল বিভাগে এক হাজার ৫০টি টিকাদান কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে । অবশ্য টিকা প্রদানের
ক্ষেত্রে বরিশালের রিমোট বা নদীবেষ্টিত এলাকা কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। তবে সবাই যদি স্বেচ্ছায় ভ্যাকসিন গ্রহণে আগ্রহী হয়, দ্রুতই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন, বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য ডা. মো. হুমায়ুন শাহীন খান, শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মনিরুজ্জামান শাহিন, শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম, বিএম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়া, বরিশাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্বাস উদ্দিন, হাতেম আলী কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন ফারুক,সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের অধ্যাপক সভাপতি নজমুল হোসেন আকাশ, সরকারি জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুবা হোসেন প্রমুখ।
ডিআইএ/এফএ