প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২, ০১:৫৩ এএম
করোনাভাইরাসের
টিকা দিতে সাভারের প্রধান
টিকা কেন্দ্র হেলথ
ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটে লাখো মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
এতে টিকা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিকাপ্রত্যাশীদের লাঠিপেটা
করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুই
স্বাস্থ্যকর্মীসহ তিন রেড ক্রিসেন্ট
সদস্য আহত হয়েছেন। এ
ছাড়া টিকাপ্রত্যাশী
অনেকেই এই ভিড়ের ভেতর
অসুস্থ হয়ে পড়েন।
মঙ্গলবার
(২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকাল
পর্যন্ত সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশের টিকা কেন্দ্রে এমন
ভিড় দেখা যায়। জানা
যায়, প্রথম ডোজের
টিকা বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পরপরই এভাবে ভিড় বাড়তে থাকে।
নাজিম
উদ্দীন নামে এক টিকাপ্রত্যাশী
বলেন, ‘আমি খুব সকালে
টিকা নিতে এসেছিলাম। দুপুর
পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি
টিকাপ্রত্যাশী হাজির হয়। তারা বিশৃঙ্খলা
সৃষ্টির চেষ্টা করে। এ সময়
সামনের দিকে থাকা লোকদের
লাঠিপেটা করে পুলিশ। বর্তমানে
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঝামেলার কারণে আমি ফিরে এসেছি।
আজ আর টিকা নেয়া
হয়নি।’
অপর
টিকাপ্রত্যাশী ফারজানা বলেন, ‘আমি অনেক আগে
রেজিস্ট্রেশন করেছি। কিন্তু আমার কোনো মেসেজ
আসেনি। তাই মেসেজ ছাড়াই
আজ টিকা নিতে এসেছি।
নারীদের কোনো সমস্যা হয়নি।
তবে এত মানুষের চাপে
একটু বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে সামনে থাকা
লোকদের লাঠি দিয়ে পেটানোর
চেষ্টা করে পুলিশ।’
এ
ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা
কর্মকর্তা সায়েমুল হুদার সঙ্গে কথা বলেন সিটি নিউজ প্রতিনিধি। তিনি বলেন, ‘যেহেতু
টিকা নিতে এখন রেজিস্ট্রেশন-আইডি কার্ড লাগছে
না সেহেতু হাজারো মানুষ এসেছে। আজ (মঙ্গলবার) হঠাৎ টিকাকেন্দ্রে মানুষের
ঢল নামে। মানুষকে সামাল দিতে আমাদের হিমশিম
খেতে হয়েছে। টিকাকেন্দ্রের ১৮ বুথে ৬০-৭০ জন কর্মী
কাজ করেছেন। আমরা সবাইকে বারবার
বলছি একটু ধৈর্য ধরুন,
সবাই টিকা পাবেন। আমাদের
পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন আছে।’
তিনি আরও জানান, আমাদের তিনজন স্বাস্থ্যকর্মী ভিড় সামলাতে গিয়ে আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ছাড়া ভলেন্টিয়ারের দায়িত্বে থাকা রেড ক্রিসেন্টের দুই সদস্যও আহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আমাদের এই টিকা কেন্দ্র ছাড়াও অনেকগুলো স্থান আছে যেখানে প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ এই কেন্দ্রেই আসছে টিকা দিতে।
এএমকে/এসএডি