প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২, ০৯:৩১ পিএম
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে
২২ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে সশরীরে ক্লাস শুরু হচ্ছে। ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের
রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো
হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গেল ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি
সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক মঙ্গলবার থেকে সশরীরে ক্লাস শুরু হচ্ছে।
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম
শুরু হয়। তার আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হলগুলো খুলে দেয়া হয়। গত ১৬ জানুয়ারি
জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে শাবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
প্রায় একমাস শাবিপ্রবিতে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে চলেছিল
আন্দোলন। শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দাবি পূরণের আশ্বাস পাওয়ায়
এই আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়। এর আগে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের গুলি
ও লাঠিচার্জের ঘটনাকে অনাকাঙ্খিত উল্লেখ করে হামলার ২৭ দিন পর দুঃখ প্রকাশ করেন শাহজালাল
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
গত ১৩ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা
চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ
তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের ছাত্রীরা। পরে ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ
ছাত্রীদের আন্দোলনে হামলা চালায়। পরদিন বিকালে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি
ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করলে তাদের ওপর লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে পুলিশ। ওই
দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন
শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কিলোতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে
অনশন শুরু করেন।
গত ২৬ জানুয়ারি সকালে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক অধ্যাপক
মুহম্মদ জাফর ইকবাল অনশনরত ২৮ জন শিক্ষার্থীর অনশন ভাঙান। এরপর থেকে অহিংস আন্দোলনের
ঘোষণা দিয়ে অবরোধ ও অনশন কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন বিভিন্ন
সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে চালিয়ে আসছিলেন তারা। এর দুই দিন পর সংকট নিরসনে সিলেট
ছুটে যান শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রী। তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করে তাদের
দাবি মেনে নেয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দেন। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের
আচার্যের (রাষ্ট্রপতি) সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এছাড়া উপাচার্যকে দুঃখ প্রকাশ করার পরামর্শ দেন। পরদিন উপাচার্য দুঃখ প্রকাশ করার পর
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়।
জেডখান