প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২, ০৩:৩৫ এএম
বরগুনা
জেলার পাথরঘাটা উপজেলার বলেশ্বর ও বিষখালি নদীতে অবৈধ জাল দিয়ে
মাছ শিকার করে কিছু অসাধু
জেলে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে
বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী এলাকায়
পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালায় পাথরঘাটা মৎস্য বিভাগ।
এ
সময় পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পদ্মা
এলাকা জেলে পল্লির শতাধিক
নারী-পুরুষ তাদের ওপর অতর্কিত হামলা
চালায়। এই ঘটনায় পাথরঘাটা
উপজেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও আনসার সদস্যসহ
মৎস্য বিভাগের মাঝিমাল্লা আহত হয়েছেন। এদের
মধ্যে পাঁচজনকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু।
আহতদের
মধ্যে মৎস অফিসের স্টাফ
আবু বক্কর সিকদার, লেবার আলমগীর হাওলাদার, মোহাম্মদ কামাল সিকদার, ফারুক আকন ও মোহাম্মদ
রেজওয়ানকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া
হচ্ছে। অন্যদের প্রথম চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া
হয়েছে।
উপেজলা
মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু সিটি নিউজ
ঢাকাকে জানান,
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদের নেতৃত্তে কোস্টগার্ড,
থানা পুলিশ, আনসার সদস্যসহ মৎস্য অফিসের লেবারদের নিয়ে উপজেলার বিষখালি
ও বলেশ্বর নদীতে মাছ ধরার অবৈধ
জাল উদ্ধারের জন্য বিকালে আমার
অভিযান চালাই। অভিযান চলাকালীন উপজেলার পদ্মা স্লইজের পশ্চিম পাশের খাল থেকে মাছ
ধরার অবৈধ জাল উদ্ধার
করি এবং স্থানীয় জেলে
বেল্লাল ফকিরসহ আর অনেক জনকে
দুই হাজার টাকা জরিমানা করা
হয়। এবং বেলালের অবৈধ
জালসহ অন্যান্য জেলেদের থেকে জব্দ করা
জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করার জন্য বিকাল
৪টার দিকে পদ্মা স্লুইজের পশ্চিম পাশের খালের পাড়ে উঠানো হলে
স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত জেলেরা প্রশাসনকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল
নিক্ষেপ করতে থাকে এবং
বাঁশ, কচা ও দেশীয়
অস্ত্র শাবল দিয়ে হামলা
চালায়। এসময় পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও আনসার সদস্যরা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে আহতদের উদ্ধার
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
পাথরঘাটা
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. সাইফুল হাসান
সিট নিউজ ঢাকাকে জানান,
আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে ভর্তি রাখা হয়েছে। তাদের
মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন
স্থানে প্রচণ্ড আঘাত হয়েছে। এদের
একজনের মাথায় শাবল দিয়ে আঘাতের
চিহ্ন রয়েছে।
পাথরঘাটা
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ সিটি
নিউজ ঢাকাকে জানান, বঙ্গোপসাগরের মোহনা বিষখালি ও বলেশ্বর নদীর
এলাকায় বিভিন্ন সময়ে কোস্ট গার্ড ও মৎস কর্মকর্তাদের
চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ কারেন্ট জাল,
চরঘেরা জাল (যাকে স্থানীয়
ভাষায় গড়া জাল বলে)
এরপর বেহুন্দী,
ঘোপসহ ছোট ফাঁসের জাল
দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করে।
এইসব অবৈধ জাল দিয়ে
মাছ শিকার বন্ধ করতে উপজেলা
প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে মৎস্য বিভাগ অভিযান চালায়। এ সময় জেলেরা হঠাৎ আমাদের ওপর
হামলা চালায়। এ বিষয়ে পাথরঘটা
থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পাথরঘাটা
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সঞ্জয়
মজুমদার সিটি নিউজ ঢাকাকে
বলেন, ‘পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জেলেরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
ঘটনার পর ওই এলাকায়
অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং
মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
এএমকে