
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২, ১০:৫০ পিএম
তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধা
জেলার মাঠপর্যায়ে দিন দিন বেড়েই চলেছে ভুট্টা আবাদ। ইতোমধ্যে দেখা দিয়েছে বাম্পার
ফলনের সম্ভাবনা। তাই রবি মৌসুমে
১ লাখ ৮৫ হাজার
মেট্রিকটন ভুট্টা উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।
সম্প্রতি
গাইবান্ধার চরাঞ্চলসহ অন্যান্য এলাকা দেখা গেছে ভুট্টাক্ষেতের
সবুজের সমাহার। ধু-ধু বালুচরে
এই ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে
কৃষকেরা।
গাইবান্ধা
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি
রবি মৌসুমে জেলায় ১৬ হাজার ৫০০
হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষাবাদ হয়েছে। এর মধ্যে চরাঞ্চলে
১০ হাজার ৭০০ হেক্টর রয়েছে।
যার উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১
লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন।
তবে গত বছর ভুট্টা
চাষ হয়েছিল ১৫ হাজার ৮৭০
হেক্টর। কৃষকেরা ভালো ফলন ও
দাম পাওয়ায় এ বছরে আবাদ
বেড়েছে।
স্থানীয়
সূত্রে জানা যায়, নদী
বিধৌত জেলা গাইবান্ধা।
এ জেলার বুক চিড়ে বয়ে
গেছে, ঘাঘট-ব্রহ্মপুত্র-তিস্তা-যমুনাসহ অসংখ্য নদ-নদী। এসব
নদীর বুকে জেগে উঠেছে
শতাধিক বালুচর। এইসব চরাঞ্চলে অন্যান্য
ফসলের পাশাপাশি ভুট্টার আবাদেই যেন কৃষকের সোনার
ফসল। স্বল্প খরচে অধিক লাভজনক
হওয়ায় এখানকার কৃষকেরা ঝুঁকে পড়েছে ভুট্টা চাষে। শুধু চরাঞ্চলের কৃষকেরা
নয়, জেলার বিভিন্ন সমতল ভূমিতে এই
আবাদ চোখে পড়ার মতো।
এটিই তাদের গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। চলতি রবি মৌসুমে বপন
করা ভুট্টাক্ষেতে ইতোমধ্যে থোর হতে শুরু
করেছে। আবার কোনো কোনো
ক্ষেতের থোর বেড়িয়ে রং
বদলাচ্ছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহের দিকে অধিক ফসল
ঘরে তুলতে পারবে বলে কৃষকেরা আশা
করেছেন।
এরেন্ডবাড়ি
চরের কৃষক খাজা মিয়া
জানান, এ বছর বালুভূমিতে
দেড় একর ভুট্টা আবাদ
করেছেন। সামনের মাসেই এ ফসল ঘরে
তোলার স্বপ্ন দেখছেন। এখান থেকে খরচ
বাদে প্রায় লক্ষাধিক টাকা লাভের আশা
করছেন তিনি।
আরেক
কৃষক মুহাম্মদ আলী বলেন, ‘এক
সময়ে চরের মানুষের কৃষি
ফসল থেকে তেমন কোনো
লাভবান হতো না। এখন
সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা ভুট্টা-মরিচ-বাদাম-কুমড়া
ও মিষ্টি আলুসহ নানা প্রকার ফসল
উৎপাদন করা হচ্ছে। এসব
ফসল থেকে আমাদের এখন
আর্থিক সচ্ছলতা ফিরছে।’
উপসহকারী
কৃষি কর্মকর্তা তানজিমুল হাসান জানান, ভুট্টা আবাদ অত্যন্ত লাভজনক।
ভুট্টার দানা মানুষের পুষ্টিখাদ্য,
গাছ ও সবুজ পাতা
গোখাদ্য এবং হাঁস-মুরগি
ও মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গাইবান্ধা
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এ জেলার কৃষকেরা
ভুট্টা আবাদে আগ্রহী বেশি। তাদের লাভবান করতে মাঠপর্যায়ে সার্বিক
সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
এএমকে/ডাকুয়া