প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২২, ০১:০৯ এএম
কিছুদিন আগে গাইবান্ধা জেলা দিয়ে বয়ে গেছে টানা তিনদিনের বৃষ্টি। এতে নিচু ভূমির রবিশস্য ও ধান ক্ষেত তলিয়ে গেছে পানির নিচে। ক্ষতি হয়েছে ফসলি জমি। পানির তলে আছে সহস্রাধিক জমির ফসল। তাই কৃষকের কপালে পড়েছে ভাঁজ।
৭ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সরেজমিনে গাইবান্ধা জেলার মাঠপর্যায়ে
দেখা গেছে কৃষি ফসলের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। এ অঞ্চলের ইরি ধানের ও আলুসহ শাক-সবজির ক্ষেতগুলো
বাঁচানোর চেষ্টায় নানা কৌশল অবলম্বন করছেন কৃষকেরা।
জানা যায়, কৃষি-নির্ভর জেলা গাইবান্ধা। এ জেলার অধিকাংশ
মানুষের ভরসা তাই কৃষি ফসল। এরই মধ্যে জীবিকা নির্বাহের স্বপ্নে মাঠে বুনেছে ইরি ধানের
চারা। একই সঙ্গে আবাদ করা হয়েছে ভুট্টা, কলা, আলু , বেগুন, কপি, ক্ষিরা, টমোটো, গাজোরসহ
প্রভৃতি জাতের রবিশস্য। এসব রবিশস্য ক্ষেত থেকে ইতোমধ্যে ফসল ঘরে তুলতে শুরু করছিলেন কৃষকরা। সঠিক দাম ও অধিক ফলন পাওয়ার সম্ভাবনায়
তাদের মুখে ফুটেছিল হাসির ঝিলিক। কিন্তু বিধিবাম! যেন আষাঢ়ের বাদল নেমেছে মাঘ মাসের
শেষে। হঠাৎ এই বৃষ্টিতে কপাল পুড়লো তাদের। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে তছনছ ফসলি জমি।
ডুবে গেছে ইরি ধান, আর রবিশস্যের ক্ষেত। হয়েছেআলুসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলহানী। রয়েছে আরও
ক্ষতির আশঙ্কা। সবমিলিয়ে কৃষকের অপুরণীয় ক্ষতি। কিন্তু এমন ক্ষতির তথ্য নেই কৃষি বিভাগে।
কৃষকরা কীভাবে ক্ষতি পোষবে তা নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে তাদের।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য, চলতি মৌসুমে ১ লাখ ২২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে ইরি ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। এ ছাড়ার মাঠে রয়েছে ৮ হাজার ৬০০ হেক্টর আলু ও অন্যান্য শাক-সবজি রয়েছে ১০ হাজার ৩১৮ হেক্টর জমিতে। অসময়ের বৃষ্টিতে এসব ফসলের মধ্যে সহস্রাধিক হেক্টর জমির ফসলের ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। পানিতে তলিয়ে থাকা ফসল আরও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় কৃষকেরা।
কৃষক মকুল চন্দ্র জানান, আলুসহ এক একর জমিতে রবিশস্য
আবাদ করেছেন। এসব ফসল বিক্রিও শুরু করছিলেন। তবে অতিবৃষ্টিতে তার জমির প্রায় ৪০ ভাগ
ফসল নষ্ট হয়েছে। ফসল আরও নষ্ট হতে পারে।
কৃষক খয়বর রহমান বলেন, দুই বিঘা জমিতে ইরি ধানের চারা
রোপন করা হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে এক বিঘা জমির চারা পানিতে তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি না
সরলে সব চারা নষ্ট হবে।
তবে আশার বাণী দিয়ে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, কৃষকের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। গাইবান্ধা জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক বেলাল উদ্দিন বলেন, সম্প্রতি বৃষ্টিতে কোনো ফসলের ক্ষতি হয়নি। পানিতে ডুবে থাকা ফসলগুলোর যাতে করে ক্ষতি না হয় সেজন্য কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
জেডখান