• ঢাকা বুধবার
    ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

চট্টগ্রামের গুপ্তছড়া-কুমিরা নৌপথে দুর্ভোগ বন্ধের দাবি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২, ০১:১৪ পিএম

চট্টগ্রামের গুপ্তছড়া-কুমিরা নৌপথে দুর্ভোগ বন্ধের দাবি

দেশজুড়ে ডেস্ক

চট্টগ্রাম ও সন্দ্বীপের মধ্যে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌপথে অবিলম্বে জনদুর্ভোগ বন্ধের দাবি জানিয়েছে নৌ, পরিবেশ ও জনঅধিকার বিষয়ক আটটি নাগরিক সংগঠন।

বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুায়ারি) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনগুলোর নেতারা এ নৌপথের ঘাট-ইজারাদারের লোকজনের দৌরাত্ম্য বন্ধে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বন্দরনগর চট্টগ্রামের সঙ্গে সাড়ে চার লক্ষাধিক মানুষ অধ্যুষিত দ্বীপাঞ্চল সন্দ্বীপের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম তিনটি নৌপথ। এর মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌপথে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে।

কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌপথ ও ঘাটের মালিকানা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) হলেও দুটি ঘাটই জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং প্রতি বছর তারাই এ ঘাট ইজারা দেন।

এমনকি দুই বছর আগে উচ্চ আদালত মেঘনা মোহনার এই নৌপথ এবং এর দুই তীরে অবস্থিত কুমিরা ও গুপ্তছড়া ঘাটের যাবতীয় কর্তৃত্ব বিআইডব্লিউটিএর কাছে হস্তান্তরের আদেশ দিলেও দীর্ঘ দুই বছরেও তা কার্যকর হয়নি।

প্রতি বছর জেলা পরিষদ থেকে ইজারা দেয়া এ ঘাট দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে একই ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌপথে চলাচলকারী স্পিডবোটগুলোও ইজারাদারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ফলে এ নৌপথ ব্যবহারকারীরা ইজারাদার ও তার লোকজনের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছে মতো অতিরিক্ত টোল ও স্পিডবোটে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। বাড়তি টোল ও ভাড়ার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত যাত্রী হয়রানির ঘটনাও ঘটছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তার ওপর চলে দৈহিক নির্যাতন।

নাগরিক সংগঠনগুলোর নেতারা এই সীমাহীন জুলুম-নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

বিবৃতিদাতারা হলেন- নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুর রহমান সেলিম, নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়ন আন্দোলনের সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের মহাসচিব মাহবুল হক, প্রভারটি ইমুলিনেশন অ্যাসিস্ট্যান্স সেন্টার ফর এভরিহোয়্যার (পিস) মহাসচিব ইফমা হুসেইন, মিডিয়া ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের (মেড) নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম সবুজ ও যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী।

আর্কাইভ