প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২২, ০৫:২৯ পিএম
মাঘের
জারে বাঘের হার কাঁপানো ঠাণ্ডায়
কাঁপছে কুড়িগ্রাম। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশায় ঢেকে
আছে কুড়িগ্রামের জনপদ।
শুক্রবার
(২৮ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলেও শনিবারের
তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
যা শুক্রবারের তুলনায় বেশি। তবে তাপমাত্রা একটু উন্নতি হলেও
মধ্য রাত থেকে বৃষ্টির
মতো ঝরে পড়া কুয়াশায়
আছন্ন হয়ে পড়ে কুড়িগ্রামের
জনপদ।
শনিবার
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, আরও দু-একদিন
তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকতে পারে।
তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এ জেলার মানুষজন। বোরো চারা রোপণের ভরা মৌসুম চলায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষি শ্রমিকেরা। কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে মাঠে কাজ করছেন তারা।
এতে
বিপাকে পড়েছেন অন্যান্য শ্রমজীবীসহ অসহায় মানুষেরা। গরম কাপড়ের অভাবে
কাজে বের হতে কষ্ট
হচ্ছে তাদের।
অটোরিকশা
চালক আব্দুল জলিল বলেন, ‘ঠাণ্ডায়
গাড়ির হ্যান্ডল ধরা যায় না।
গতকাল তো খালি ঠাণ্ডা ছিল,
কুয়াশা ছিল না। আজ ঠাণ্ড
আর কুয়াশা দুইটাই আছে। গাড়ি চালাতে খুব
কষ্ট হচ্ছে। মাঝে-মাঝে লাইট
জ্বেলে পথ চলতে হচ্ছে।’
সদরের ভেলাকোপা এলাকার দিনমজুর হযরত আলী বলেন, ‘বোরো চারা রোপণের ভরা মৌসুম চলছে। এমন সময় এত শীত ও ঠাণ্ডা পড়ছে যে জমিতে নামতে পারছি না। তার পরেও ঠাণ্ড পানিতে নেমে কাজ করতে হচ্ছে। গতকাল থেকে জমিতে কাজ করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।’
একই
গ্রামের কৃষক মহব্বত আলী
বলেন, ‘সকাল থেকেই পানিতে
নেমে কাজ করছি হাত-পা বরফ হয়ে
যাচ্ছে। কোনো কাজ করছে
না। যতই ঠাণ্ডা হোক
না কেন আমাদের মাঠে
কাজ করতে হয় ভাই।’
কুড়িগ্রামের
জেলা প্রশাসক অফিসের তথ্যমতে, জেলার ৯ উপজেলায় সরকারি-বেসরকারিভাবে এ পর্যন্ত ৮০
হাজার কম্বলসহ অন্যান্য শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
রাজারহাট
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান
বলেন, ‘আজ (শনিবার) কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
রেকর্ড করা হয়েছে ৭
ডিগ্রি সেলসিয়াস।
যা আগামী আরও দু-একদিন
তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চলমান এই
মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা নিম্নগামী হতে আরও দুই
দিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি।’
এএমকে/ডা