প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২২, ১১:১৫ পিএম
২০২১ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জে
৩৯ জন খুন হয়েছে। এর বেশির ভাগ হত্যাকাণ্ডই আধিপত্য বিস্তার, পূর্বশত্রুতা, জমিজমা নিয়ে
বিরোধ ও পরকীয়াসহ বিভিন্ন কারণে হয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে উঠে এসেছে। পুলিশ
ও র্যাবের অভিযানে অধিকাংশ খুনে জড়িতরা গ্রেফতারও হয়েছে। তথ্য মতে, গেল বছরের ৩৯ হত্যাকাণ্ডের
মধ্যে ৩৭টি হত্যাকাণ্ডের অপরাধী শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত না হওয়া শিবগঞ্জের অটোচালক মজলুর
রহমান ভোদু ও গোমস্তাপুরের দুধ বিক্রেতা মতি হত্যা মামলা তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ
তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
পুলিশ বলছে,
অপরাধী
শনাক্তকরণ ও সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহের ক্ষেত্রে পুলিশ এখন প্রযুক্তিনির্ভর। পুলিশের তদন্তে
সোর্স-নির্ভরতা থেকে সরে এসে প্রযুক্তির সহায়তায় অনেক সূত্রহীন হত্যাকাণ্ডের রহস্য
উদঘাটন করেছে দ্রুত সময়ে।
জানা গেছে, আধিপত্যের
দ্বন্দ্বে পৌর এলকার আলিনগরে শরিফুল ইসলাম শিমুল হত্যা, পূর্বশত্রুতার জেরে ঝাপাইড়ার
হৃদয় হত্যা, আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে ইসলামপুরের কৃষক আব্দুর রহমান হত্যা,
শিবগঞ্জে ইয়াবা নিয়ে দ্বন্দ্বে জিয়ারুল ইসলাম হত্যা, গোমস্তাপুরে অটোচালক জুয়েল মার্ডি
হত্যা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বটতলাহাট এলাকায় কলেজছাত্র আজিম হত্যাকাণ্ডসহ বেশ কয়েকটি খুনের
ঘটনা ছিল আলোচিত।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর
মডেল থানার ওসি মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘পুলিশের তদন্তে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে।
প্রযুক্তির সহায়তায় সূত্রবিহীন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হয়েছে, বেরিয়ে এসেছে অপরাধীরা।
হত্যার ঘটনায় মামলা নিয়ে তাৎক্ষণিক অভিযানে আসামিও গ্রেফতার হয়েছে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর
মডেল থানার সব কটি হত্যা মামলায় অপরাধী শনাক্ত হয়েছে উল্লেখ করে ওসি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডসহ
কোনো অপরাধ যাতে বৃদ্ধি না পায় এ জন্য আমরা সতর্ক।’
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের
পুলিশ সুপার এ এইচ এম আবদুর রকিব বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক
আছে। সব হত্যা মামলার সব আসামি হয়তো আটক হয়নি। তবে বেশির ভাগ মামলার আসামিকে আটক করা
হয়েছে। এ ছাড়া খুনের মতো ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য জেলা পুলিশ সার্বক্ষণিক টহল-অভিযান
অব্যাহত রেখেছে।’
এএমকে/এম. জামান