ভোলা প্রতিনিধি
সরাসরি দেশে আঘাত হানেনি ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। তবে পূর্ণিমা ও ঘূর্ণিঝড় এ দুইয়ে মিলে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি করেছে। পানি বেড়েছে নদীতে। এতে বেড়িবাঁধ উপচে প্লাবিত হয়েছে উপকূলীয় অঞ্চল।
ইয়াসের প্রভাবে পানি বেড়েছে মেঘনা নদীতেও। আর প্রবল জোয়ারে মনপুরার নতুন বেড়িবাঁধের ৫০ ফুট ভেঙে গেছে। ভেঙেছে এলজিইডি নির্মিত ৪০ ফুট পাকা সড়কও। এতে উপজেলার সঙ্গে উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া এই দুই ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে মনপুরার ১০ গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২০ হাজার মানুষ।
মনপুরা উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন চর কলাতলী, চর নিজাম, মহাজনকান্দি ও কাজীর চর এলাকায় জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ থেকে ছয় ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হয়। ওই সমস্ত এলাকার মানুষ ঘরের টিনের চালে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্যরা।
এ ছাড়া মনপুরা ইউনিয়নে কারিতাসের নির্মিত সাইক্লোন সেন্টার ও অস্থায়ী ইউনিয়ন পরিষদের নিচ তলা কোমর পানিতে ডুবে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ বলেন, জোয়ার শেষ হলে ভাঙা বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।
মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম মিঞা বলেন, জোয়ারের পানিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চল চার থেকে পাঁচ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। দুর্গত এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এএএম/এএমকে
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন