প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২২, ১২:৫১ এএম
রংপুরের পীরগাছায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মা-মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত থেকে শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত রংপুরে এএসপি (সি-সার্কেল) আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাকৃতরা
হলেন- উপজেলার পারুল ইউনিয়নের অনন্দি ধনিরাম গ্রামের মৃত গোফ্ফার মিয়ার
ছেলে জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়ারু মিয়া
(৩৫), ছামছুল হকের স্ত্রী রূপভান
(৫৫), নুর হোসেনের স্ত্রী
রাহেনা বেগম (৩০), রুবেল মিয়ার
স্ত্রী রুমানা বেগম (২৫), মোহাম্মদ আলীর
স্ত্রী দুলালী বেগম (৩০) ও মিঠাপুকুর
উপজেলার শালাইপুর (নোয়াখালীপাড়া) গ্রামের নুর ইসলামের স্ত্রী
জোৎস্না বেগম (৩৮)।
বুধবার
(১২ জানুয়ারি) উপজেলার পারুল ইউনিয়নের অনন্দি ধনিরাম গ্রামে মা-মেয়েকে গাছে
বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার
দুপুরে মা-মেয়েকে গাছে
বেঁধে নির্যাতনের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
নির্যাতনের
শিকার মা গোলাপী বেগম
ও মেয়ে রাবেয়া বেগম
উক্ত গ্রামের সাজাহান মিয়ার স্ত্রী ও মেয়ে।
মামলার
এজাহার ও ভুক্তভোগীর পরিবার
সূত্রে জানা যায়, অনন্দি
ধনিরাম গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে
সাজাহান মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী গোফ্ফার মিয়ার ছেলে জিয়ারু মিয়ার
জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ
চলছিল।
বুধবার
সকালে আবারও জিয়ারু ও তার লোকজন
সাজাহানের জমি দখল করে
গাছ ও রাস্তা কাটতে
থাকেন। এ সময় সাজাহান ও
তার পরিবারের লোকজন বাধা দেয়। এতে জিয়ারু
ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত
হয়ে সাজাহানের স্ত্রী গোলাপী বেগম ও মেয়ে
রাবেয়া বেগমকে গাছে বেঁধে নির্যাতন
চালায়। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯-এ ফোন দিলে পীরগাছা
থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায়
তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। তারা এখনও সেখানে
চিকিৎসাধীন।
এ
ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সাজাহান
বাদী হয়ে পীরগাছা থানায়
১৮ জনকে আসামি করে
একটি এজাহার দায়ের করেন।
বিষয়টি
নিশ্চিত করে রংপুরের এএসপি
(সি সার্কেল) আশরাফুল আলম সিটি নিউজকে
বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায়
একটি মামলা দায়েরের পর বিভিন্ন স্থানে
অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার
করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
নূর/ডা