প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২২, ০৭:০৮ পিএম
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নতুন ধরন
‘ওমিক্রন’ নিয়ে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষের মধ্যে আলোচনাও চলছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার
ক্ষেত্রে মানুষের উদাসীনতা রয়েছে আগের মতোই। নাগরিক
সচেতনতা তৈরিতে এখনও কোনো প্রচারণা
চালাতে দেখা যায়নি। মাস্ক
না পরাদের জবাবদিহির আওতায় আনার কথা বলা
হলেও বিধিনিষেধ জারির তিন দিনেও তেমনটা
লক্ষ করা যায়নি। চোখে
পড়েনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের কোনো কর্মকাণ্ড। তবে
নবাগত জেলা প্রশাসক একেএম
গালিভ খান শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ
সেন্ট্রাল জামে মসজিদে জুমআর
নামাজ শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে
করোনার সংক্রমণ রোধে সবাই মাস্ক
পরার পরামর্শ দেন।
করোনার
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রিপরিষদ ঘোষিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে
বাসার বাইরে বের হতে মাস্ক
পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে,
এমন ঘোষণায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঘরের বাইরে প্রাত্যহিক
কাজকর্মে রাস্তায় বের হওয়াদের মধ্যে
তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।
মাস্ক ছাড়াই রাস্তা, বাজার, শপিংমলসহ সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে সাধারণ
মানুষ। মাস্ক পরায় কেবলই অনীহা,
আছে উদাসীনতা।
শনিবার
(১৫ জানুয়ারি) শহরের কয়েকটি এলাকা ঘুরে এমন চিত্র
দেখা গেছে। মার্কেট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে
মানুষের উপস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। দেখে
বোঝার উপায় নেই, দেশে
নতুন করে করোনার সংক্রমণ
বাড়তে শুরু করেছে। সংক্রমণ
বৃদ্ধি নিয়ে মানুষের মধ্যে
বাড়তি কোনো সতর্কতা চোখে
পড়ছে না।
শুক্রবার
(১৪ জানুয়ারি) ছিল একই দৃশ্যপট।
মার্কেট বন্ধ থাকলেও হোটেল
খাওয়া, কাঁচাবাজারে কেনাকাটা এবং ফুটপাতের চায়ের
দোকানে মাস্ক ছাড়াও বসে থাকতে দেখা
গেছে অনেককেই।
শনিবার
সকালে শহরের নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে,
সবজির দোকানগুলোতে মানুষ গাদাগাদি করে কেনাকাটা করছে।
অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই।
কারও কারও মুখে মাস্ক
থাকলেও এখনও সেই আগের
মতো তা থুতনিতে নামানো।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, রিকশাসহ সব ধরনের যানবাহনে
গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন
করতে দেখা গেছে।
বাজার
সমিতির নেতারা বলছেন, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে মাস্ক
ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে মানুষকে তাগিদ দেয়া হচ্ছে। দোকানদাররা
মানলেও জনগণ সেটা মানতে
চান না।
নাগরিক
সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মনোয়ার হোসেন জুয়েল বলেন, ‘নিজেদের সুস্থ রাখার জন্য সচতেন হতে
হবে। সবাই নিজ অবস্থান
থেকে সচেতন হলে পরিস্থিতি অনুকূলে
থাকবে। সেটা করতে না
পারলে বিপদ বাড়বে।’
সামাজিক
সচেতনতা বৃদ্ধি ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক ও
করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি একেএম গালিভ খান বলেন, ‘করোনার
নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ
বাড়ছে। এই প্রক্ষাপটে মাস্ক
ব্যবহারে আগের নির্দেশনাগুলোই কঠোরভাবে
পালনের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ
থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান ও জেলা তথ্য
অফিসের মাইকযোগেও সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হবে।’
তিনি
আরও বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সবাইকে মাস্ক
ব্যবহার করতে হবে। নিজে
মাস্ক পরে অন্যদের মাস্ক
পরতে উৎসাহিত করলেই মাস্ক পরার অভ্যাস গড়ে
ওঠবে।’
নূর/ডা