প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২২, ০৩:১১ এএম
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার
হাঁটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র মো. ইয়াছিন আরাফাতকে (১৪) তিনবার
করোনা টিকা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখতে চার সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন
করা হয়েছে।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ও ২নং ওয়ার্ড গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা।
ইয়াছিনের দাদা আবুল কালাম ভাণ্ডারী জানান, বিদ্যালয় থেকে টিকা দেওয়ার নোটিশে অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায় ইয়াছিন। টিকা কর্মীরা প্রথমে তাদের সাথে থাকা টিকার রেজিস্ট্রেশন কার্ডটির একটি অংশ জমা নিয়ে ইয়াছিনকে প্রথম ডোজ টিকা প্রদান করে। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ইয়াছিন ওই কক্ষে অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দাঁড়ানো ছিল। এর কিছুক্ষণ পর কোন প্রকার কাগজ ছাড়া তাকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বার টিকা প্রদান করা হয়। এতে তার শরীরে ব্যাথা শুরু হয়ে জ্বর আসে। পরবর্তীতে তাকে দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় তার মুখ ফুলে গেছে।
চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক আহমেদ বলেন, অভিযুক্ত টিকা প্রদান করা কর্মীকে শোকজ করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীকে দুই বার টিকা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেয়ার কর্মসূচীর আওতায় ফাইজারের প্রথম ডোজ টিকা প্রদানের সময় ওই শিক্ষার্থীকে দুই বার টিকা দেয়া হয়েছে বলে আমরা শুনেছি। ওই শিক্ষার্থীকে আমাদের তত্তাবধানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। টিকা কর্মীরা দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি নিয়ে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. তিথী আবেদকে প্রধান করে চার সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
জেডআই/