প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২২, ০৯:৩০ এএম
যশোরে করোনায় আক্রান্ত তিন জনের শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। এদের
মধ্যে দুই জন ভারতীয় ও এক জন বাংলাদেশি নাগরিক।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক
জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে করোনার নতুন এ ধরনটি শনাক্ত করে।
সন্ধ্যায় যবিপ্রবির জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ
তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতীয় দুই নাগরিকের মধ্যে একজন পুরুষ, যার বয়স ৩০ বছর। অন্যজন নারী,
যার বয়স ৪১ বছর। এ দুজনের
শরীরে করোনার কোন উপসর্গ নেই। এছাড়া যে বাংলাদেশি নাগরিকের শরীরে ওমিক্রন ধরা
পড়েছে, তিনি ২৫ বছরের যুবক। তিনদিন ধরে তারা ঠাণ্ডা ও
গলা ব্যাথার উপসর্গে রয়েছে।
করোনার নতুন এ ধরণটি শনাক্তের বিষয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার
হোসেন বলেন, 'ওমিক্রন খুবই দ্রুত সংক্রমনশীল। এ জন্য টিকা
গ্রহণ, মাস্ক ব্যবহারসহ কঠোরভাবে করোনাকালীন
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।'
তিনি জানান, করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রন শনাক্তের কাজটি
জিনোম সেন্টারে অব্যাহত থাকবে।
জিনোম সেন্টারের গবেষকরা জানান,
করোনার ওমিক্রন
ভ্যারিয়েন্টের স্পাইক প্রোটিনে ৩০টিরও বেশি মিউটেশন আছে।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরণটির স্থানীয়
সংক্রমণের বিষয়টিও যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে শনাক্ত করা হয়।
যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদের নেতৃত্বে করোনার নতুন এ ধরণ শনাক্তে গবেষক দলের অন্য সদস্যরা হলেন, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাসান মো. আল-ইমরান, অণুজীববিজ্ঞন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শোভন লাল সরকার, এ এস এম রুবাইয়াতুল আলম, প্রভাষক শামিনুর রহমান, জিনোম সেন্টারের গবেষণা সহকারী প্রশান্ত কুমার দাস, আলী আহসান সেতু ও তৌকির আহম্মেদ প্রমুখ।
অর্ণব