• ঢাকা বুধবার
    ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

সাভারে অবৈধ ছয় ইটভাটাকে ৬২ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২২, ০৩:১৮ এএম

সাভারে অবৈধ ছয় ইটভাটাকে ৬২ লাখ টাকা জরিমানা

সাভার প্রতিনিধি

ঢাকার সাভারে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ছয়টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে মোট ৬২ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন পরিবেশ অধিদফতর পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ইটভাটাগুলোর বেশির ভাগ অংশ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন ও সাভার পৌর এলাকায় অবস্থিত এসব ইটভাটায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

পরিবেশ অধিদফতর জানায়, রাজধানী ঘেঁষা উপশহর সাভারের বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে পরিবেশ দূষণ ও ফসলি জমি নষ্ট করে ইটভাটা তৈরি করে ইট প্রস্তুত করে আসছিলেন, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই আজ পরিবেশ দূষণ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকার অভিযোগে এসব ইটভাটায় অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

অভিযানে সাভার পৌরসভার নামাগেন্ডা এলাকার মেসার্স কর্ণফুলী ব্রিকসকে পাঁচ লাখ, মেসার্স এখলাছ ব্রিকসকে ২০ লাখ, মেসার্স মুধুমতি ব্রিকসকে পাঁচ লাখ ও মেসার্স ফিরোজ ব্রিকসকে ছয় লাখ টাকা, বিরুলিয়া ইউনিয়নের শাহদল্লাপুর এলাকার মেসার্স মাহিন ব্রিকসকে ২০ লাখ টাকা ও মেসার্স  রিপন ব্রিকসকে ছয় লাখসহ সর্বমোট ৬২ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এ সময় তাৎক্ষণিক জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় একজনকে আটক করা হয়। তবে পরে জরিমানা আদায় হলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

অভিযানে অংশ নেয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদ বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, ঢাকার চারপাশের বিভিন্ন জেলার অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে অভিযান চলছে। এর অংশ হিসেবে আজ সাভারে অভিযান চালিয়ে ছয়টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগে ইটভাটার আংশিক ভেঙে দিয়ে বেশি টাকা জরিমানা করা হতো। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এখন কম জরিমানা করে ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।’ অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

এ সময় অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক জহিরুল ইসলাম তালুকদার, এডি মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজীব, এডি হায়াত মাহমুদ রকিব, হিসাব রক্ষক উজ্জ্বল বড়ুয়াসহ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

জেডআই/এম. জামান

আর্কাইভ