প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২২, ১২:৪৪ এএম
তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা প্রতিনিধি
হাড় কাঁপানো
শীত জেঁকে বসেছে গাইবান্ধায়। তবে শীতের কাঁপনেও
সেখানকার গ্রামাঞ্চলের কৃষকেরা বসে নেই। তীব্র
শীত উপেক্ষা করে হাঁটুকাদায় নেমে
পড়েছেন তারা। ঠকঠক করে কাঁপলেও
এই কাদা মাটিতেই রোপণ শুরু করেছেন
ইরি ধানের চারা। এই চারা বুনে
গত মৌসুমের চেয়েও এবার আরও বেশি
পরিমাণে ধান উৎপাদনের স্বপ্ন
দেখছেন দেশের উত্তরের এই জেলার কৃষকেরা।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) গাইবান্ধার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের মাঠে দেখা যায় কৃষক-শ্রমিকের ব্যস্ততা। এ সময় ধানের চারা রোপণের আগে কেউ কেউ প্রস্তুত করছিলেন তাদের জমি। কেউ বা তুলছিলেন ইরি-বোরো ধানচারা। অনেকে আবার ধানের চারা রোপণে কোমর বেঁধে কাদা মাটিতে নেমেছিলেন।
এ সময়ই
কথা হয় কৃষক খাদেমুল
ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গেল
আমন মৌসুমে ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি পুষিয়ে
নিতে এ বছর দুই
একর জমিতে ইরি-বোরো ধান
আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছি। শীতের মধ্যেও এক
বিঘা জমিতে রোপণ করেছি।’
আরেক কৃষক এনামুল হক জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং সার-কীটনাশকের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলে এবার প্রচুর ফলন গোলায় তোলার আশা করছি।
শষ্যভাণ্ডার জেলা হিসেবে পরিচিত
গাইবান্ধা। এ জেলার অধিকাংশ
মানুষ কৃষিকাজে নির্ভরশীল। তাদের প্রধান ফসল হচ্ছে ইরি-বোরো ধান। এই
ধান দিয়েই তারা বেঁচে থাকার, জীবন গড়ার স্বপ্ন
দেখেন। এই স্বপ্নসাধ পূর্ণ
করতে এবারও বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ
করে এরই মধ্যে তা রোপণ করেছেন
গাইবান্ধার কৃষকেরা।
গাইবান্ধা
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে
জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো
মৌসুমে জেলার সাতটি উপজেলায় এক লাখ ২৭
হাজার ৮৪৫ হেক্টর জমিতে
ধানচারা রোপণে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে
প্রায় ৮ লাখ ৩৫
হাজার ৩৬৩ মেট্রিক টন
ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। উৎপাদিত ধান থেকে প্রায়
৫ লাখ ৫৬ হাজার
৯০৯ মেট্রিক টন চাল পাওয়া
যেতে পারে।
জেলার
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু
তাহের মিয়া জানান, চারা
রোপণের কয়েক দিনের মধ্যে
জমিতে পার্চিং বসানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সেই
সঙ্গে অধিক ফলনের কলা-কৌশলও শেখানো হচ্ছে কৃষকদের।
গাইবান্ধা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের
উপ-পরিচালক বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘কৃষকরা যাতে করে ভালো
ফলন পান, সে লক্ষ্যে
কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতায় মাঠপর্যায়ে কাজ করা হচ্ছে।’
জেডখান/ডা