প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২২, ১১:১৩ পিএম
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে মসজিদের ভেতর পাঁচ বছর
বয়সী এক শিশু ধর্ষণের
অপরাধে মনিরুল ইসলাম নামে মাদরাসা শিক্ষককে
সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে
নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন ট্রাইব্যুনাল-১এর বিচারক
মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এই রায় দেন।
মামলা
সূত্রে জানা গেছে, জামালপুরের
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ একটি গ্রামের এক
দম্পতি ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করেন। এ
জন্য তাদের পাঁচ বছর বয়সী
কন্যাশিশু নানীর কাছে থাকত। শিশুটিকে
পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গারগ্রাম জামে মসজিদে ইসলামিক
ফাইন্ডেশন পরিচালিত মসজিদ-ভিত্তিক শিশু শিক্ষালয়ে ভর্তি
করা হয়।
২০১৯
সালের ২ অক্টোবর সকালে
শিক্ষালয়ের নিয়োগপ্রাপ্ত হুজুর মনিরুল ইসলাম ছাত্রছাত্রীদের ছুটি দিয়ে ওই
শিশুকে মসজিদের ভেতর ধর্ষণ করেন।
পরে বাড়ি ফিরে গেলে
তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার
পরের দিন শিশুটির নানী
ভাঙ্গারগ্রাম এলাকার শুক্কুর আলীর ছেলে মনিরুল
ইসলামকে (৪২) আসামি করে
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় মামলা
দায়ের করেন।
পরবর্তীকালে
১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে
১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের
ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১এর বিচারক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম আসামি মনিরুল ইসলামের উপস্থিতিতে নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন আইন ২০০০
(সংশোধিত ২০০৩)-এর ১০ ধারায়
মনিরুল ইসলামকে ৮ বছরের সশ্রম
কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার
টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের
বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। মামলায়
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন স্পেশাল পিপি মোহাম্মদ আকরাম
হোসেন ও আসামিপক্ষের
আইনজীবী ছিলেন মো. রেজাউল আমিন
শামীম।
জেডখান/এম. জামান