প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২২, ১০:২১ পিএম
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ধর্মগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীতে ট্রলারডুবির
ঘটনার ৬ষ্ঠ দিনে আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
রোববার (৯ জানুয়ারি) পর্যন্ত ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে সোমবার (১০
জানুয়ারি) সকালে এ ঘটনায় ৩জনসহ ৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নতুন উদ্ধার হওয়া তিনজন হলেন- তানিম, আব্দুল্লাহ ও শামসুদ্দিন। এ ঘটনায়
এখনও নিখোঁজ দেড় বছরের শিশু তাসফিয়া। তার সন্ধানে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা।
এখন পর্যন্ত উদ্ধারকৃত মৃতরা হলেন, ফতুল্লার
চরমধ্যনগর এলাকার সোহেল মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩৫) ও তার বড় মেয়ে তাসমিন
আক্তার (২০), ফতুল্লার চরবক্তাবলীর রাজু সরদারের কলেজপড়ুয়া
ছেলে সাব্বির আহমেদ (১৮), হাজীপাড়ার আব্দুল জলিলের মেয়ে জোসনা বেগম (৩৩), উত্তর গোপালনগরের রেকমত আলীর ছেলে আব্দুল মোতালেব (৪২), চরবক্তাবলীর মৃত আক্কাস আলীর ছেলে আওলাদ হোসেন (৩০), তামিম (৮), আব্দুল্লাহ (২৪), শামসুদ্দিন (৬২)।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক
আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, ‘ট্রলারডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জনের মরদেহ
উদ্ধার করা হয়েছে। শিশু তাসফিয়া এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তাকে উদ্ধারের জন্য আমাদের
প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। পাশাপাশি কোস্টগার্ড, নৌপুলিশও চেষ্টা
চালাচ্ছে।
এর আগে গত ৫ জানুয়ারি সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা
নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গত ৬ জানুয়ারি বিআইডব্লিউটিএ
নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের নৌ-নিরাপত্তা বিভাগের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বাবু লাল
বৈদ্য বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় গ্রেফতার মেসার্স ফারহান নেভিগেশনের এমভি ফারহান-৬ নামক লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান (৪০), ইনচার্জ ড্রাইভার মো. জসিম উদ্দিন ভুইয়া (৪০) ও সুকানি মো. জসিম মোল্লাকে (৩০) আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
অর্ণব/ডা