প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২২, ০৮:৫৯ এএম
রংপুরের গঙ্গাচড়ায়
শিক্ষার্থীদের করোনা টিকাদান কার্যক্রম দেখতে গিয়ে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন মাধ্যমিক
শিক্ষা কর্মকর্তা শাহানাজ বেগম। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে ‘স্যার’
না বলায় তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (৯ জানুয়ারি) সকালের দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাঠে শিক্ষার্থীদের করোনা টিকাদান কার্যক্রম দেখতে গিয়ে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন শাহনাজ বেগম।
শাহানাজ বেগমের অভিযোগ স্যার না বলায় অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করাসহ তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সামনে এমন আচরণে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। পরে জ্ঞান ফিরলে স্বাভাবিক হয়ে উপজেলা পরিষদ মাঠ দাঁড়িয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন। এ সময় উপজেলার অন্য কর্মকর্তারা তাকে সেখান থেকে তার দফতরে নিয়ে যান।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসিফ ফেরদৌস।
স্থানীয়রা জানান, রোববার সকালে করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রম চলাকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহানাজ বেগম। তিনি বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে আসা শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় সেখানে একই সঙ্গে একাধিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর টিকা নেয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসিফ ফেরদৌস উচ্চবাচ্য করেন। একপর্যায়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহানাজ বেগমকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
একাধিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জানান, শত শত শিক্ষার্থী ছাড়া সেখান বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনে এমন অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহানাজ বেগম বলেন, “উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনি শিক্ষার্থীদের টিকাগ্রহণ কার্যক্রম দেখতে যান। সেখানে উপস্থিত থাকা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে ‘স্যার’ না বলায় তিনি আমার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন।”
অভিযোগ অস্বীকার করে ডা. আসিফ ফেরদৌস বলেন, “আমি শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলার সঙ্গে টিকা গ্রহণ করতে বলেছি মাত্র। তবে ‘স্যার’ না ডাকা নিয়ে তোলা অভিযোগ সঠিক নয়।”
জেডআই/এম. জামান