• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

গাইবান্ধার ইরি-বোরোর সমলয় চাষাবাদ শুরু

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২২, ১২:২২ এএম

গাইবান্ধার ইরি-বোরোর সমলয় চাষাবাদ শুরু

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে অধিক ফলন ঘরে তোলার লক্ষ্যে গাইবান্ধার কৃষকেরা শুরু করেছেন সমলয় চাষাবাদ কর্মসূচি। কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহারে কাদামাটিতে রোপণ করা হচ্ছে ধানের চারা।

রোববার ( জানুয়ারি) গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মৌজামালিবাড়ী মানাসেরপাড় এলাকার মাঠে সমলয় চাষাবাদের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক বেলাল উদ্দিন। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এই চাষাবাদ শুরু করা হয়।

জানা যায়, কৃষিনির্ভর জেলা গাইবান্ধা। জেলায় নানা ধরনের ফসলের পাশাপাশি কৃষকেরা আবাদ করে থাকেন ইরি-বোরো ধান। ধানের ফলন বাড়াতে সমলয় চাষাবাদে ঝুঁকেছেন কৃষকেরা।

স্বল্প জমিতে অধিক ধান উৎপাদন করে মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনায় গাইবান্ধায় উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদ শুরু করা হচ্ছে।

এর আগে কৃষকেরা নতুন মাত্রায় ট্রেতে বীজতলায় চারা তৈরি করেন। তারা মেশিন দিয়ে মাটিভর্তি ট্রেতে বপন করছিলেন অগ্রণী- হাইব্রিড জাতের ধানবীজ। ইতোমধ্যে সেই বীজ থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে চারা। সেগুলো লাগানো হচ্ছে জমিতে।

কৃষক হাসেন আলী জানান, কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় ট্রেতে বীজ বপন করার পর সেগুলোর চারা নিয়ে রোপণ করা হচ্ছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়তো অধিক ফলন নেয়া যেতে পারে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, ‘সর্বাধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহারে উচ্চ ফলনশীল একই জাত ব্যবহারট্রেতে বীজ বপন, কম বয়সের চারা রোপণ, চারা রোপণে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহার, সুষম সার ব্যবহার, আইল ফসল, ধান কর্তনে কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়ানো, উৎপাদন খরচ সাশ্রয় করাকৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ভরা মৌসুমে কৃষি শ্রমিকের সংকটের সমাধান সম্ভব হবে সমলয় চাষাবাদে।’

গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক বেলাল উদ্দিন জানান, বোরো ধান সমলয় চাষাবাদের লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুর এলাকা প্রাথমিকভাবে ৫০ একর জমিতে চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। এটি অর্জনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘সমকালে ঘটিত বা একযোগে কৃষকের ফসল উৎপাদন করা লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ ছাড়া কার্যক্রমে সহজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকদের অধিক ফলন ঘরে তোলা সম্ভব।

নূর/এম. জামান

আর্কাইভ